এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জলপাইগুড়িতে ৩১ তারিখ হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের সঙ্গে দেখা করতেই আজ আসা। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে এই মুহূর্তে সবটাই আছে। আমরা চিঠি লিখে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ির ব্যবস্থা করার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। রাজ্য সরকার সেই বাড়ি করে দিত। এই দাবি নিয়ে ১০ জন সদস্য গিয়েছিলেন কমিশনে। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে, পুলিশের ভ্যানে তুলেছে। ২৪ ঘণ্টা একটা থানায় তাঁরা বসেছিলেন। এই লোকসভার সাংসদ আপনাদের ভোটে জিতেছিল। ১৩ দিন হয়ে গেল, ১৩ লাইনের একটা চিঠি আপনাদের জন্য কেন্দ্রকে লেখেন নি তিনি।’’
advertisement
অভিষেক আরও বলেন, ‘‘নিজে আমি দু’বার রাজ্যপালের কাছে গিয়েছি। যিনি সংবিধানের ধারক-বাহক বলেন। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। আজকেও রাজ্যপালকে আমি চিঠি লিখে এসেছি। অসমে বিহুর জন্য ইসি টাকা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। আর বাংলায় টাকা বন্ধ করে রেখেছেন। এই বৈষম্য চলবে না। আমি আজকে চিঠি লিখে জানিয়েছি, আপনি দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরকার টাকা পাঠাবে। ভোট শেষ হলে ২০ হাজার করে দেব। আদর্শ আচরণবিধি শেষ হলেই এই সাহায্য করব। যাদেরকে ২০১৯ সালে জিতিয়েছিলেন, তারা জলপাইগুড়ির মা-বোনেদের জন্য কী করেছেন? এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এরা মানুষকে আসলে দুর্বল ভাবে। এই যে এক লাখ ২০ হাজার দেওয়া হবে এটা উপহার নয়। এটা আপনার অধিকার।’’