তিনি বলেন, ''নির্দল হয়ে দাঁড়ালে, দলের দরজা খোলা, দল থেকে বেরিয়ে যাক, নির্দল হয়ে দাঁড়াক৷ আর আমাকে ধমকে চমকে লাভ নেই৷ আগে কী পরিস্থিতিতে ভোট হত? দিনহাটা, ভেটাগুড়ি, তুফানগঞ্জে ভোটে কী পরিস্থিতি ছিল? আমরা সেই অবস্থার বদল চাই। আগে স্লোগান দিতাম, নিজের ভোট নিজে দিন৷ এখন স্লোগান দিচ্ছি, নিজের প্রার্থী, নিজে বাছাই করুন। বিজেপি এখানে ক্যাম্প ভেঙে দিয়েছিল দুয়ারে সরকারের৷ ওরা গোটা দেশ জুড়ে নৈরাজ্য চালাচ্ছে।''
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের! নিয়োগ হল 'আদালত বন্ধু', খতিয়ে দেখা হবে রিপোর্ট
এরপরই বিজেপিকে একহাত নিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ''ওরা বলে উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য গড়ব৷ মোদি-শাহ-নাড্ডা এসে এখানে বলুক, আলাদা রাজ্য গড়ব৷ চ্যালেঞ্জ করছি, সেটা বললে, আমি রাজনীতির আঙিনা থেকে সরব৷ কীসের আলাদা রাজ্য? কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ গোটাটাই বঙ্গ। ক্ষমতা থাকলে কোচবিহারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুন৷ বিজেপি সরকার কী করেছে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী করেছে।''
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ৩২ তৃণমূল নেতার ইস্তফা! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার মধ্যে বিরাট চাপে শাসক দল
অভিষেকের সংযোজন, ''এখানে বিজেপির বিধায়ক৷ একদিনও এলাকার দাবিদাওয়া নেই, সরব হয়নি বিধানসভায়৷ এদের বাড়ি ঘেরাও করুন৷ আপনাদের ভোটে জিতে ৩৬৪ দিন কলকাতায় গিয়ে বসে থাকে৷ আর স্নো-পাওডার মেখে টিভিতে ভাষণ দেবেন। এই যে নিশীথ প্রামাণিক দিল্লিতে গিয়ে মার্বেল প্যালেস তৈরি করেছে। আমার কাছে ছবি আছে, মানুষ যদি চায়, আমি পরের দিন মিটিংয়ে রিলিজ করে দেব। আমি যদিও কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করি না।''