সোমবারের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোচবিহারে লোকসভার ফল ধরে রাখতেই হবে। ব্লক ভিত্তিক প্রচারে আরও বেশি করে জোর দিতে হবে। সবাইকে সবার সঙ্গেই চলতে হবে। এক ইঞ্চি জমি কাউকে ছাড়া হবে না। অসম সীমান্ত এলাকা। ফলে বাংলা ভাষা নিয়ে আন্দোলনে জোর দাও। নিজের এলাকায় বেশি করে সময় দাও। যত বেশি সম্ভব এলাকায় সময় কাটান। কোনও নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রাখবেন না। পাড়ায় উপস্থিত থেকে বুঝবেন মানুষ কী চাইছে। সেই অসুবিধা দূর করতে হবে।’’
advertisement
কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিক বলেন, ‘‘হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। বারবার এনআরসি-র লিস্ট পাঠানো হচ্ছে। এমন ভাব করছে যেন বিজেপির বিধায়কদের পায়ে আমরা পড়ি। আগামিকাল জেলার ১৯ জায়গায় প্রতিবাদ সভা হবে। আমাদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। যে বা যারা দ্বন্দ্বের কথা বলছে তারা ফিতে দিয়ে মেপে দেখিয়ে দিক। সাংগঠনিক স্তরের কিছু রদবদল নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে।’’
সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে ৷ আর এই ঘটনাকে বাঙালি অস্মিতায় আঘাত হিসাবেই দেখছে রাজ্যের শাসকদল । ইতিমধ্যেই এই নিয়ে রাজপথে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।
আরও পড়ুন- প্রয়াত শিবু সোরেন, দীর্ঘ রোগভোগের পর জীবনাবসান ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর
এমনকী, প্রয়োজন পড়লে দিল্লি পর্যন্ত এই আন্দোলনকে নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তাঁরা । সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহ থেকেই জেলা ও ব্লক স্তরে সংগঠন পদাধিকারীদের নাম প্রকাশ হবে। জনসংযোগে দক্ষ এমন নেতাদের সামনে রেখেই এগোবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি সামনে রেখে এই প্রক্রিয়া এগোতে পারে। সমস্ত জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ৫ তারিখের বৈঠকে প্রায় ৯ হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। ভিন রাজ্যে বাংলাভাষিদের উপর অত্যাচার হলেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে দ্রুত পদক্ষেপ করা এবং তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।