এদিন মালদহের সুজাপুরের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেন, বিজেপি-র কোনও নেতার মুখে অধীর চৌধুরী সম্পর্কে কোনও বিরূপ শব্দ শোনা যায় না, তেমনই মোদি-শাহকে আক্রমণ করেন না অধীর চৌধুরীও৷ এমনকি, অধীর চৌধুরী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরে কথা বলেন বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক৷ তাঁর কথায়, ‘‘তার (অধীর চোধুরী) আবার দিদির পুলিশে আস্থা নেই৷ দাদার পুলিশে আস্থা৷ দাদাকে? দাদা হল নরেন্দ্র মোদি৷ কোনও দিন মোদি-শাহকে অধীর চৌধুরী আক্রমণ করেনি৷ বিজেপির নেতাও আক্রমণ করেনি অধীর চৌধুরীকে৷ সুজন বাবু, বিমান বসুও করেনি৷ এঁদের আক্রমণ হচ্ছে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তৃণমূল।’’
advertisement
আরও পড়ুন: কতটা চেনেন কুন্তলকে? ইডি-র গোয়েন্দাদের সামনে বিস্ফোরক সায়নী, কী বললেন?
এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা বলেছিল আচ্ছে দিন আসছে৷ গ্যাসের দাম ৪০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা। দেখেছেন অধীর চৌধুরী প্রতিবাদ করে বিজেপি-কে কিছু বলেছে?’’ কংগ্রেসের দুই সাংসদ একদিনও একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে একটাও বৈঠক করেননি বলে মঞ্চ থেকে দাবি করেন অভিষেক।
এরপরেই মালদহের জন সাধারণের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘ভোট ভাগের পুনরাবৃত্তি যেন মালদায় না হয়৷ এই কংগ্রেস আপনাদের জন্য এখানে কিছু করেনি৷ রাহুল গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে বলছে, বিজেপির স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে লড়াই করব৷ আর এখানে কংগ্রেসের ছোট, বড়, মাঝারি নেতারা বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাও। আসলে ওরা বিজেপির বি-টিম।’’
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গেলেও অভিষেকের কথায় সমান গুরুত্ব পায় চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনও৷ পটনার বৈঠক নিয়ে অধীরকে বিঁধলেও সেই বৈঠককে হাতিয়ার করেই মোদির উদ্দেশে আক্রমণ শানান অভিষেক৷ বলেন, ‘‘পটনায় বিরোধী বৈঠক হতেই মোদির পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। আমাদের লড়াই ভারতবর্ষের সংবিধান রক্ষার লড়াই। মোদি বা বিজেপির বিরুদ্ধে নয়। ২০২১ এর মতো ল্যাজেগোবরে করে ২০২৪ সালে হারাব৷ মানুষের পাশে থাকবে, এমন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে৷’’
তাঁর আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য, ‘‘ এ বছর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট আছে। রাজস্থান, ছত্তীসগড়, মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানায় ভোট আছে৷ আমি ছ’মাস আগে ভবিষ্যৎবাণী করছি। মিলিয়ে নেবেন ৫ রাজ্যে বিজেপি হারছে৷ বাংলা রাস্তা দেখিয়েছে। বাকিটা এগোচ্ছে। ২০২৪ সালে বিজেপি যাচ্ছে।’’
তবে কি, পটনা বৈঠক হলেও এখনও বিরোধী জোটের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের কাঁটা সেই কংগ্রেস? অধীর প্রসঙ্গে অভিষেকের এদিনের অবস্থান তো অন্তত তেমনই ইশারা করল বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা৷