আরও পড়ুনঃ সিকিমে প্রবল তুষারপাতে আটকে পর্যটকরা, ৫০০ জনকে উদ্ধার; শয়ে শয়ে আটকে গাড়ি
পুরাতন মালদহের মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুমুরতলা এলাকার বাসিন্দা পলান দাস একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন টোটোচালক। নিজের ও স্ত্রীর আধার নিয়ে কোনও সমস্যা না হলেও, সপ্তমশ্রেণির পড়ুয়া ছেলের আধার ডিএক্টিভেশনের চিঠি পেয়ে হতবাক পরিবার। অন্যদিকে, একই এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ দাস ও তাঁর স্ত্রী আধার নিষ্ক্রিয় হওয়ার চিঠি হাতে পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। কৃষ্ণবাবুর বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। কিন্তু, আধার জটিলতায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে না পেরে থমকে চিকিৎসা। নাগরিকত্বের একাধিক প্রমাণপত্র হাতে থাকলেও আধার নিষ্ক্রিয়তার জেরে মুহূর্তে রেশন, ব্যাংকের লেনদেন সবই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে, কৃষ্ণবাবুর ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর আধার নিষ্ক্রিয় হলেও স্কুল পড়ুয়া ছেলের আধার সক্রিয় রয়েছে।
advertisement
একইভাবে আধার নিষ্ক্রিয়তার চিঠি পেয়েছেন হবিবপুর ব্লকের আইহো পঞ্চায়েতের বক্সীনগর এলাকার একই পরিবারের তিনজন। এখানে মা ও দুই ছেলের আধার নিষ্ক্রিয় করার চিঠি পাঠানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। আতঙ্কে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসতে চাইনি পরিবার।
মালদহ জেলাশাসকের তরফে অবশ্য আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, যাঁরা আধার নিষ্ক্রিয়তার চিঠি পেয়েছেন, তাঁরা যাতে রেশন বা অন্যান্য কোনও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন এজন্য বিকল্প পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের পোর্টালে তাঁদের নাম যুক্ত করা হবে। এদিকে মালদহে আধার নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে জেলা তৃণমূল। আধার কার্ড নিষ্ক্রিয়তার মুখে পড়া বাসিন্দারা যাতে কোনওভাবে আতঙ্কিত না হন, দল পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, যাঁদের আধার ডিএকটিভেটেড হয়েছে তাঁদের আধার ফের সক্রিয় হয়ে যাবে। এরমধ্যে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই বলেও দাবি বিজেপির