এই পাশবিক ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক ছিল। তবে তদন্তে নামার পর রেল পুলিশ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। অভিযুক্তের নাম নয়ন বর্মন। বয়স আনুমানিক ২৩ থেকে ২৫। জানা গিয়েছে, সে পেশায় একজন টোটো চালক এবং তার বাড়ি শিলিগুড়ি শহরের লাগোয়া হাতিয়াডাঙা এলাকায়।
advertisement
কী ঘটেছিল?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত নয়ন বর্মন কৌশলে নাবালিকাটিকে ফুঁসলিয়ে ডিএস কলোনির রেলওয়ের একটি পরিত্যক্ত কামরায় নিয়ে যায়। সেখানেই ঘটে পাশবিক নির্যাতন। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে মেয়েটির হাত, পা ও মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে মেয়েটিকে রক্তাক্ত ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হলে, তদন্তে নামে রেল পুলিশ ও এসওজি। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে ও একাধিক সূত্রে তথ্য সংগ্রহ করে, পুলিশ জানতে পারে নয়ন বর্মন ঘটনার পরপরই পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে পালিয়ে হায়দ্রাবাদে আশ্রয় নিয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ হায়দ্রাবাদে হানা দেয় এবং সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করে অভিযুক্তকে।
আজ আদালতে পেশ:
ধৃত নয়ন বর্মনকে আজ শুক্রবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে। তার বিরুদ্ধে পকসো অ্যাক্ট সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ।
প্রতিক্রিয়া ও নিরাপত্তা প্রশ্নে উদ্বেগ:
এই ঘটনার পর এনজেপি সংলগ্ন এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরিত্যক্ত ট্রেন কামরাগুলিকে কেন সিল না করা হয়, সেগুলিতে কাদের আনাগোনা থাকে—এসব প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের কাছে। স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই পরিত্যক্ত কামরাগুলিকে আস্তানা বানাচ্ছে অপরাধীরা, মাদকাসক্তরা ও দুষ্কৃতীরা।
