জানা যাচ্ছে, আজ সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ির পাশে খেলছিল মিত। এদিকে বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছিল। সেই গর্তে জল জমেছিল। খেলতে খেলতেই সে কোনওভাবে সেই গর্তে পড়ে যায়। সেই সময় বাড়ির কেউ আশেপাশে ছিলেন না। খবর পেয়ে বাড়ির সকলে যখন ছুটে আসেন, তখন ঠাকুরদা মিতকে জল থেকে তুলে এনে তাঁর পেটের জল বের করার চেষ্টা করছেন।
advertisement
সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে পাথর পরিবার, পাড়া প্রতিবেশীরা।
জানা যাচ্ছে, মিতের মা-বাবা দু’জনেই কাজে গিয়েছিলেন। বাবা অসমে কর্মরত, মা চা বাগানের শ্রমিক। মা-বাবার বিয়ের তিন বছর পর মিতের জন্ম হয়েছিল। সে ছিল একমাত্র সন্তান। মিতকে বাড়িতে ঠাকুরদা-ঠাকুমার কাছে রেখে গিয়েছিলেন তাঁরা। আজ বাড়ির নির্মীয়মান সেপটিক ট্যাঙ্কের জলে ডুবে মৃত্যু হল এই একরত্তি শিশুর।