এ দিকে, টানা বৃষ্টিতে জেরবার সিকিম। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ফোন করেন সিকিমের মুখ্যসচিব। সেখানেই রাজ্যের সহযোগিতা চেয়েছেন। দার্জিলিং-জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং এই তিন জেলাশাসককে সতর্ক করেছে নবান্ন। আজ উত্তর সিকিমে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে তিস্তায়। এখনও পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপস্থানে সরানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভয়ঙ্কর তিস্তা গিলে খাচ্ছে কালিম্পং! সিংতামে নিখোঁজ ২৩ সেনা জওয়ান, কোন বিপদের মুখে উত্তরবঙ্গ?
advertisement
এ দিকে, সিকিমে এনডিআরএফের দল পাঠানো হচ্ছে। শিলিগুড়ি, দার্জিলিং ও কোচবিহার থেকে এনডিআরএফ টিম যাচ্ছে তিস্তা সংলগ্ন একাধিক এলাকায়। তিন জেলার জেলাশাসক কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এলাকা মনিটরিংয়ের। জলপাইগুড়িতে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নবান্ন।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত দুটো নাগাদ সিকিমের মুখ্য সচিব ফোন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। সিকিমের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ফোন করেন। গোটা বিষয় সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। আরও উদ্ধারকার্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন জেলার জেলাশাসককে। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের নিখোঁজের বিষয়েও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে।
এ দিকে, রাত দুটোর সময় সিকিমের মুখ্যসচিবের ফোন পাওয়ার পরে রাজ্যের মুখ্যসচিব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত ভাবে কথা বলেন। উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকার অবস্থা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, হুগলির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হাওড়ার উদয় নারায়নপুরের একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেই বিষয় সম্পর্কেও জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়