করোনার মোকাবিলায় দেশজুড়েই চলছে লকডাউন। শৈলশহরেও এখনও লকডাউন চলছে। দু'দিনের জন্যে দোকান খুললেও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটন ব্যবসা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। মানছেন পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে হোটেল মালিকেরা। আর তাই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্যে দুটি হোটেল কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এসছে। এজন্য ভাড়া বাবদ কোনও অর্থই নেবে না তারা। যেখানে অন্য জায়গায় ভাড়া নিয়ে হোটেল তুলে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের কাছে। সেখানে দার্জিলিং অন্য পথ দেখাল। একটি হোটেলে ৮০ জনের আয়োজন তৈরী। অন্যটিতে ২৫ জনের। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তর হোটেল দুটিকে স্যানিটাইজড করেছে।
advertisement
দার্জিলিং হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি সাঙ্গে শেরপা জানান, আরও হোটেল কর্তৃপক্ষও এভাবে এগিয়ে আসবে আশা করছি। এই মূহূর্তে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। কেউ চাকরী সূত্রে, কেউ বা উচ্চ শিক্ষার জন্যে। একে একে সকলেই ফিরে আসছেন নিজের বাড়িতে। সরকারী নির্দেশ মতো বাইরে থেকে এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে। তাই প্রয়োজন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। সরকারীভাবে পাহাড়ে একাধীক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। তবু আরও প্রয়োজন।
দুটি হোটেল প্রথম দফায় এগিয়ে এসছে। আর এক হোটেল মালিক রাজেশ রজক জানান,'এজন্য আমরা কোনও ভাড়া নিচ্ছি না। এমনকী কর্মীদের বেতনের জন্যেও কোনও টাকা নেওয়া হচ্ছে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরিষেবা দেওয়া হবে। আর যারা থাকবেন, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করবে গোর্খাল্যাণ্ড টেরিটোরিয়াল এডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ। দার্জিলিংয়েও কমিউনিটি কিচেন করেছে জিটিএ। সেখান থেকেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে এই দুই হোটেল কোয়ারেন্টাইনে পৌঁছে যাবে খাবারের প্যাকেট। বাকি সব সুবিধে মিলবে হোটেল থেকেই।
Partha Pratim Sarkar