মালদহ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মোট ২৭ জনের মৃত্যু এখন পর্যন্ত। যাঁদের মধ্যে ছিলেন রতুয়ার ২ নম্বর ব্লকের ১৭ জন, ইংরেজবাজার ব্লকের ছ’জন, গাজোল ব্লকের তিন জন, কালিয়াচকের ২ নম্বর ব্লকের একজন।
আরও পড়ুন: মিজোরামে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ ব্রিজ, মালদহের একাধিক শ্রমিক জখম হওয়ার আশঙ্কা!
advertisement
বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ৩৫ থেকে ৪০ জন কর্মী কাজ করছিলেন, তখনই ভেঙে পড়ে নির্মাণাধীন ব্রিজটি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন।
মালদহের পুকুরিয়া থানা এলাকার কোক্লামারি, চৌদুয়ার গ্রামের অনেক শ্রমিক ওই ব্রিজটির নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বুধবার সকাল থেকেই পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। কাজ চলার সময় হঠাৎ নির্মীয়মাণ ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ে। সেখান থেকেই পড়ে মৃত্যু হয় বহু শ্রমিকের। গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যেও এখনও সঠিক খবর এসে পৌঁছায়নি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের পরিবারের লোকেরা খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছেন।
ব্রিকসের সম্মেলন থেকে এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মৃতদের ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। ট্যুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যের মালদহের একাধিক শ্রমিক সেখানে কাজ করতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে উদ্ধারকাজ এবং সকলরকম সাহায্যের সমন্বয় করছেন। এছাড়া মালদহ জেলা প্রশাসনকে শোকাহত পরিবারগুলিকে সমস্ত রকমের সাহায্য ও সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের দেহ যত শীঘ্র সম্ভব তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সব রকম প্রচেষ্টা রাজ্য সরকার মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে করে চলেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিকটাত্মীয়দের যত দ্রুত সম্ভব যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর সমবেদনা জানিয়েছেন।