কিন্তু এদিন আদালতে তাঁর হয়ে কোনও আইনজীবী হাজির ছিলেন না। এমনই জানিয়েছেন, মালদহ আদালতের অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর দেবজ্যোতি পাল। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই মালদহ সীমান্তের মিলিক সুলতানপুরে চিনা নাগরিক হান জুনওয়ের গ্রেফতারের ঘটনা সংবাদ শিরোনামে। ইতিমধ্যেই এই মামলা বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। কারণ, এই চিনা নাগরিকের সঙ্গে চিনা সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা তদন্তকারীদের। চিনা সামরিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হান এখনও একাধিক তদন্তকারী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়লেও সেভাবে মুখ খোলেননি। এমনকি তাঁর ল্যাপটপ ও আইফোনের পাসওয়ার্ডও দেননি তদন্তকারীদের। যেভাবে তদন্তকারীদের জেরা সামলাচ্ছেন হান, তাতে তদন্তকারীদের সন্দেহ ওই চিনা যুবক রীতিমতো প্রশিক্ষিত। এই অবস্থায় মঙ্গলবারই ঘটনার তদন্ত কালিয়াচক থানার পুলিশের হাত থেকে সরিয়ে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স এর হাতে দেওয়া হয়।
advertisement
সূত্রের খবর, আদালত থেকে দশ দিনের হেফাজত পাওয়ার পর হান জুনওয়েকে নিয়ে একাধিক রাজ্যেও যেতে পারেন তদন্তকারীরা। যেভাবে মালদহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিশেষ একটি জায়গা পেরিয়ে ওই চিনা নাগরিক এদেশে ঢুকেছে, তাতে তদন্তকারীরা নিশ্চিত তিনি কোনও সাধারণ যুবক নন। বুধবার মালদহে উত্তরবঙ্গ পুলিশের শীর্ষ কর্তারা হান জুনওয়েকে জেরা করেন। তবে এখনো উল্লেখযোগ্য কোনও সূত্র মেলেনি বলেই সূত্রে খবর। আগামী ২৫ জুন ওই যুবককে ফের মালদহ জেলা আদালতে তোলা হবে। তার আগে এই দশদিনে এসটিএফ তদন্তের কাজ কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে নজর এখন সেদিকেই।