একের পর এক বোমা পড়তে থাকে নির্বাচন শুরু হতেই। প্রায় ৭০ থেকে ৭৫টি বোমা পড়েছে বলে জানান ভোট কর্মীরা। শুধু তাই নয় শাসক-বিরোধী দুই দলের তরফেই বোমাবাজি এবং বুথে হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ জানান ভোট কর্মীরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েই কোনও রকমে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন ভোট কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে ভোট করানো সম্ভব নয় তাঁদের পক্ষে বলেও জানানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা না দিলে ভোট হবে না! কীসের টাকা? বর্ধমানে বিরাট শোরগোল
কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারদিক থেকে বোম পড়তে থাকে। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না ভোট কর্মীরা। আতঙ্কে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েন তারাও। এরপরই খবর পেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে ভোটের কাজ পরিচালনা করা ভোট কর্মীরা জানিয়ে দেন কোনও রকম ভাবেই ভোট করানো সম্ভব হবে না তাদের পক্ষে।
আরও পড়ুন: রক্ত ঝরছে পঞ্চায়েত ভোটে, মোবাইলে গেম খেলতে ‘ব্যস্ত’ সিভিক পুলিশ!
ফলে ভোট দান প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে এলাকায়। পাশাপাশি, আমডাঙা চণ্ডীগড় পঞ্চায়েতে তৃণমূল আইএসএফ সংঘর্ষ বাদে। জেলায় সকাল থেকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। তবে সংঘর্ষের জেরে গোটা এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ব্যালট বক্স ফেলে দেওয়া হয়, ব্যালট পেপার ছেড়ে দেওয়া হয়। ভোটের যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথিপত্র ছুড়ে ফেলা হয়। রীতিমতো ভোট কেন্দ্রে দেখা যায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে কাটা আঙুল।
রুদ্র নারায়ণ রায়