ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবনে অতুলনীয় অবদানের জন্য 'মিসাইল ম্যান অব ইন্ডিয়া' বলা হয় প্রাক্তন রাস্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামকে৷ সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে এক কৃষকের ছেলে মিসাইল আবিষ্কার করে সে এখন বনগাঁর মিসাইল ম্যান নামে পরিচিত৷
রুদ্র নারায়ন রায়,বনগাঁ: ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবনে অতুলনীয় অবদানের জন্য 'মিসাইল ম্যান অব ইন্ডিয়া' বলা হয় প্রাক্তন রাস্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামকে৷ সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে এক কৃষকের ছেলে মিসাইল আবিষ্কার করে সে এখন বনগাঁর মিসাইল ম্যান নামে পরিচিত৷ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে বসবাস উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার আউলডাঙ্গা গ্রামের অভিষেক সরকারের। গ্রামগঞ্জে থাকলেও এই যুবক মিসাইল আবিষ্কার করে ইতিমধ্যেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে।তাঁর তৈরি মিসাইল শত্রু পক্ষের এলাকায় গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম৷ অভিষেকের দাবি,তাঁর তৈরি মিসাইলের রেঞ্জ ২২ হাজার কিলোমিটার৷ তাছাড়া এটি লক্ষ্যস্থলে পৌঁছানোর পূর্বে শত্রু পক্ষ মিসাইলটির কোনও ক্ষতি করতে পারবে না৷ এটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে লোহার শীট, কাঠ, প্লাস্টিক সহ বিভিন্ন সামগ্রী৷ রকেট যে সূএ মেনে বা উপকরণ দিয়ে চালানো হয় প্রায় তেমন ভাবেই চালনাও যাবে এই মিসাইল । দেশের হয়ে কাজ করার ইচ্ছে ছিল অভিষেকের। পড়াশুনো আউলডাঙ্গা অমূল্যধন রায় বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলে। ব্যাচেলর অফ আর্টস নিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এ বছরই। এর পাশাপাশি বাড়িতে বসেই মিসাইল সহ নানান ধরনের প্রযুক্তি আবিষ্কার করে চলেছে অভিষেক। বাবা অরুণ কুমার সরকার পেশায় একজন কৃষক, মা নিতান্তই গৃহিণী। দেশের সুরক্ষায় অভিষেক তাঁর তৈরি মিসাইলটি সরকারের হাতে তুলে দিতে চান৷ এবং তিনি চান এটি সীমান্ত এলাকায়ই রাখা হউক৷ বনগাঁর ছেলের এই আবিষ্কার ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা এলাকায়। বহু মানুষ এই মিসাইল দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন অভিষেকের বাড়িতে।