বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট এক নম্বর ব্লকের ইটিন্ডা-পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইটিন্ডা কলবাড়ি সংলগ্ন এলাকার সেই মন্দির কালের নিয়মে আজ কংক্রিটে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু তার ঐতিহ্য তথা পুজোর পরম্পরা কিছুই বদলায়নি আজও।
আরও পড়ুন: কিছুতেই বাংলা ভাগ নয়, উত্তরের আট জেলায় পঞ্চায়েতের প্রচারে বিশেষ জোর তৃণমূলের
আরও পড়ুন: উদ্ধার ৩০ হাজার নিষিদ্ধ মাদক-ট্যাবলেট, মালদহে এসটিএফের হাতে গ্রেফতার আন্তঃরাজ্য চক্র
advertisement
শ্যামা পূজার দিন সাধারণত দেখা যায়, কোথাও মায়ের ভোগ দেওয়া হয় খিচুড়ি কোথাও বা নিরামিষ খাসির মাংস আবার কোথাওবা ইলিশ মাছ। কিন্তু ইটিন্ডার এই সিদ্ধেশ্বরী কালী মায়ের পুজো ইছামতির গলদা চিংড়ি ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। যুগ যুগ ধরে মৎস্যজীবীরা ইছামতি থেকে যে গলদা চিংড়ি মায়ের কাছে নিয়ে আসেন, সেগুলিই ভোগ রূপে মাকে অর্পণ করা হয়। যা রাজ্যের মধ্যে একপ্রকার নজির সৃষ্টি করে।
লোক মুখে শোনা যায় এই মন্দির থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পার্শ্ববর্তী গ্রাম সংগ্রামপুরের দক্ষিণা কালী ইটিন্ডার এই সিদ্ধেশ্বরী কালী মায়ের সম্পর্কে বোন হন। তাদের মধ্যে এক মন্দির থেকে অন্য মন্দিরে যাতায়াতের গল্পও শোনা যায়। মায়ের পায়ের সামনে তিনটি ঘট স্থাপন করা আছে। যা একদিকে কালি অন্যদিকে শীতলা ও চন্ডীকে এক অনন্য রূপ দিয়েছে।
লোকমুখে এও শোনা যায় মন্দির পার্শ্ববর্তী যে পুকুর রয়েছে সেখানে নাকি মা স্নান করতেন এবং একাধিক পূণ্য তিথিতে খাঁড়া হাতে মাকে রাস্তায় প্রদক্ষিণ করতেও দেখা যেত। এইরকম একাধিক ইতিহাস, গল্পকথা ও লোককথা জড়িয়ে রয়েছে এই সিদ্ধেশ্বরী কালী মায়ের সঙ্গে। যা আজও ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে।
রুদ্র নারায়ণ রায়