স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২৪ মে অশোকনগর থেকে ১৮ জনের ট্যুরিস্ট দলটি সান্দাকফু বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় কলিপোখরি গভীর জঙ্গলে পথ হারান ওই দুই জন। গতকাল সকালে দীপেশ তাঁর স্ত্রীকে ফোনে জানান, শনিবার দুপুর থেকে দু’জন জঙ্গলে পথ হারিয়ে ফেলেছেন। অন্যদিকে তাঁদের কাছে কোনও খাবার বা জল নেই। এই পরিস্থিতিতে গভীর জঙ্গলে একটা রাত কেটেছে তাদের।
advertisement
এর পর দীপেশের পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা হয় অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর সঙ্গে। ইতিমধ্যেই বিধায়ক নিঁখোজ দুই ব্যক্তিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করার জন্য জেলাশাসককে বিষয়টি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন - প্লাস্টিক মুক্ত শহর গড়ে উঠবে বনগাঁ, উদ্যোগী প্রশাসন
নিঁখোজের খবরের পরই অসহায় দুটি পরিবার৷ রবিবারের পর থেকে গভীর জঙ্গলে নিখোঁজ দুই জনের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না৷
সান্দাকফু- ফালুট ট্রেকে বেশিরভাগ সময়েই মোবাইল এর নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না৷ তবে নিঁখোজ দিপেশ সাহার শেষ বার ফোন করেছেন কলিপোখরি গভীর জঙ্গল থেকে৷ ফলে প্রশাসনের কিছুটা সুবিধা হল ওই নেটওয়ার্ক ধরে খোঁজ করার৷
সিঙ্গলিলা ন্যাশনাল পার্কের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উচ্চতম শৃঙ্গ সান্দাকফু। বলা হয় সান্দাকফু ট্রেক পৃথিবীর বিশেষ কয়েকটি ট্রেকের মধ্যে অন্যতম। ১১,৯৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সান্দাকফু থেকে দেখতে পাওয়া যায় বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোৎসে এবং মাকালু – পৃথিবীর পাঁচটি সবচেয়ে উঁচু চূড়ার চারটিই সান্দাকফু থেকে দেখা যায়।
আরও পড়ুন - টোটো চালকদের সাথেই পালিয়ে গেল পাল বাড়ির দুই বৌ!
যারা সান্দাকফু যেতে চান তাদের যাত্রা পথ সাধারণ এই রকম -
প্রথম দিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন অথবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে যোগাযোগ করে পিকআপ করা হবে। সেখান থেকে গাড়িতে করে মানেভঞ্জন।
দ্বিতীয় দিন মানেভঞ্জন থেকে পায়ে হেঁটে টংলু অথবা টুংলিং।
তৃতীয় দিনের গন্তব্য হবে কালিপোখরী।
চতুর্থ দিন মাত্র ৮ কিলোমিটার হেঁটে আপনাদের ফাইনাল ডেস্টিনেশন সান্দাকফু। সমস্ত দিনটাই সান্দাকফুতে কাটানোর পর, পরদিন ১৮ কিলোমিটার হেঁটে শ্রীখোলা। তারপর শ্রীখোলা থেকে পাহাড়ের গা ধরে গাড়িতে করে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে নামা।