উত্তর ২৪ পরগনা: বাংলা নববর্ষ নিয়ে তেমন উৎসাহ আজকাল চোখে পড়ে কি? তবুও পহেলা বৈশাখ এমন এক পার্বণ যা বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে। আসলে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব হলহালখাতা ও মিষ্টিমুখ। ব্যবসায়ীরা পয়লা বৈশাখে নতুন হিসেবের খাতা খোলেন। আর ক্রেতাদের মিষ্টিমুখ করান। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেডিজিটাল লেনদেনের প্রচলন শুরু হতেই কিছুটা ফিকে হয়েছে হালখাতার পর্ব। কিছু কিছু জায়গায় লাল খাতার দেখা মিললেও অনেক জায়গায় আর দেখা যায় না হালখাতার চিরাচরিত সেই প্রথা। মিষ্টি মুখের মধ্যে দিয়েই নববর্ষে ক্রেতা বিক্রেতার আন্তরিক মেলবন্ধন ঘটে। আর এই সংস্কৃতি থেকেই নববর্ষ মানেই মিষ্টিমুখ। আগে নির্দিষ্ট কয়েকটি মিষ্টিতেই মিষ্টিমুখ চলত নববর্ষে। তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মিষ্টি তে এসেছে অভিনবত্ব। বাংলা বছরের প্রথম দিনে মিষ্টি কিনতে দোকানে ভিড় জমান অনেকেই। আর করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই হরেক রকম মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসেছেন মিষ্টি বিক্রেতারা। রয়েছে ক্ষীরকদম, গোলাপজাম, কাঁচা এবং পাকা দুই রকমের ম্যাংগো রসগোল্লা, মতিচুরের লাড্ডু, কেশর কালাকাধ, কেশর মালাই চমচম, চকলেট সন্দেশ সহ হরেক রকমের মিষ্টি। করোনাকালের ব্যবসার মন্দা কাটিয়ে কিছুটা ভালো অবস্থায় ব্যবসা ফিরবে বলেই আশা করছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।বাঙালি বরাবরই খেতে ভালোবাসেন। ভোজন রসিক বাঙ্গালিরশেষপাতে মিষ্টি মাস্ট। আর সেখানে বছরের প্রথম দিন বাঙালির শেষপাতে মিষ্টি থাকবে না, তা ভাবাই যায় না। তবে এই দিন শুধু খাওয়ার পাতে নয়- দোকানে হালখাতা হোক বা পরিজনদের বাড়ির বড়দের প্রনাম করতেযাওয়া, সমস্ত ক্ষেত্রেই হাতে মিষ্টির প্যাকেট থাকে বাঙ্গালির।আর এবারে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় মিষ্টির বাজার আগের দুই বছরের থেকে অপেক্ষাকৃত ভালো বলেই জানানেন ব্যবসায়ীরা।বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে লক্ষ্মী লাভের আশায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গার মিষ্টির দোকানে হরেক রকমের মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসেছেন তারা।