কৌশিকী অমাবস্যার পুণ্যতিথি উপলক্ষে এদিন হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটল নৈহাটিতে৷ বড় মায়ের কাছে এই বিশেষ দিনে পুজো দিতে উপচে পড়ল ভিড়। পুজো দিতে আসা ভক্তদের মুখেই জানা গেল, ‘বড়মার কাছে কিছু চাইলে, কাউকে ফেরায় না বড়মা’। তাই জাগ্রত মায়ের কাছে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন নিজের নিজের মনস্কামনা নিয়ে। এদিন দু’হাত ভরে বড়মাকে নিবেদন করতেও দেখা যায় বলে ভক্তদের, জানালেন বড়মার পূজা কমিটির দায়িত্বে থাকা সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য।
advertisement
ঠিক কবে থেকে নৈহাটির বড়মার পুজো হয়ে আসছে, তা স্পষ্ট ভাবে জানা নেই কারোরই। তবে সময় পেরিয়ে গেলেও ভক্তি রয়েছে অক্ষুণ্ণ৷ এবারও কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে বিশেষ কিছু কর্মসূচিও নিয়েছে মন্দির কমিটি। এদিন তারাপীঠের পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য মন্দিরগুলির মতোই নৈহাটির বড় মা কালীর মন্দিরেও ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন এসেছিলেন বড়মার কাছে পুজো দিতে।
কৌশিকী অমাবস্যার দিনে বড়মার কাছে পুজো দেওয়া ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে নৈহাটির ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দিরের সামনে দিয়ে টোটো বা যানবাহন চলাচল। ভক্তেরা লাইন দিয়ে মায়ের কাছে পুজো দিতে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুন্তল চিঠি মামলায় তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ! হাইকোর্টে বড় জয় পেল সিবিআই
মন্দির কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়, মায়ের কাছে নিবেদন করা ভক্তদের ফলমূল থেকে শুরু করে শাড়ি সবই পৌঁছে দেওয়া হয় দুঃস্থদের কাছে। এমনকি, হাসপাতালেও ফল বিতরণ করা হয়। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের মেয়ের বিয়ের ক্ষেত্রে মন্দিরে বিয়ের কার্ড দিয়ে জানালে বিয়ের বেনারসী শাড়ির ব্যবস্থা করা হয় বলেও জানালেন তাপস বাবু।
মাকে দেওয়া ভক্তদের শাড়ি বিভিন্ন মহিলাদের স্কুলেও দেওয়া হয়ে থাকে। সারা বছরই মাকে কেন্দ্র করে সামাজিক কাজকর্ম করে থাকে এই বড়মা কালী পুজো কমিটি। প্রতিদিন এই মন্দিরে সকালে ও সন্ধ্যায় দু’বার করে পুজো হয়। তবে এদিন বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানা যায়।
Rudra Narayan Roy