উত্তর ২৪ পরগনা: পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে উত্তর ২৪ পরগনা দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুবর্ণপুর এফ পি স্কুল চত্বরে। আক্রান্ত পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের নাম হাসিন আরমান মন্ডল। অভিযোগ, ওই ছাত্রকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পিঠে মুখে এবং নিতম্বের ওপরে নির্মমভাবে প্রহার করেছে স্কুলের শিক্ষক। শিক্ষকের মারের চোটে ওই ছাত্রের গাল ফেটে রক্ত বেরোয়৷খবর ছড়িয়ে পড়তেইতীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় স্কুল চত্বরে। এমনকি আক্রান্ত ছাত্রের পরিবারের লোকজন এবং অন্যান্য অভিভাবকরা এসে শিক্ষককে আটকে রাখে। অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পরে অভিযুক্ত শিক্ষক উত্তম কুমার দাস ভুল স্বীকার করেছেন৷ এর পরই আক্রান্ত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। শিক্ষাঙ্গনে এক ছাত্রকে যেভাবে প্রধান শিক্ষকের হাতে প্রহৃত হতে হল,তা লজ্জাজনক ঘটনা বলে মনে করেন শিক্ষামহলের একাংশ৷ শিক্ষকের অমানবিকতার দৃষ্টান্ত দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। অভিভাবক থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার দাসের সাফাই, তিনি বসে ছিলেন ঠিক তখনই হাসিন আরমান মন্ডল নামে ওই ছাত্র তাঁকে আম ছুঁড়ে মারে। তিনি বারবার নিষেধ করার পড়েও ওই ছাত্র না শুনলে তাকে প্রহার করা হয়৷ পরবর্তীতে তিনি আক্ষেপ করে জানিয়েছেন, এভাবে প্রহার করা ঠিক হয়নি। প্রসঙ্গত জেলায় কিছুদিন আগেই আরও এক ছাত্রকে মারার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিন্দার ঝড় ওঠে তখনও। আবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি৷ ফলে শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!