উত্তর ২৪ পরগনা: দেবাদিদেব মহাদেব আকুন্দ ফুলেই তুষ্ট হন ৷ এই বিশ্বাসে ভক্তরাও শিব পুজোর প্রধান উপকরণ হিসাবে রাখেন এই আকুন্দ ফুল ৷ পথে-ঘাটে, বাগানে কিংবা রাস্তার দু'ধারে অযত্নে অবহেলায় বেড়ে উঠতে দেখা যায় এই আকুন্দ ফুলের গাছকে ৷ এই গাছ হেলায়-ফেলায় থাকলেও শিব পূজোর জন্য কিংবা শিব চতুর্দশীর পুজোতে এই ফুলের চাহিদা বেড়ে ওঠে ৷ দিন দিনএই আকুন্দ ফুলের চাহিদা বাড়তে থাকায় কিন্তু বর্তমানে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে । পরিসংখ্যানে দেখা গেছে , একাধিক কৃষক আকুন্দ ফুলের চাষ করে ভালো টাকা রোজগার করছেন। বলা যেতে পারে এই আকুন্দ ফুলই কৃষকের জীবনে এনে দিয়েছে উন্নতি ৷ উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলার পাঁচপোতা গ্রামে আজ থেকে ২৫ বছর আগে কুমার সরকার নামে এক কৃষক প্রথম আকুন্দ ফুলের চাষ শুরু করেন। চাষের পরিধি বাড়তে বাড়তে বর্তমানে পাঁচপোতা এলাকায় প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে আকুন্দ ফুলের চাষ হচ্ছে। ফুল তোলা থেকে শুরু করে মালা গাঁথা সহ একাধিক কর্মযজ্ঞে কৃষকের পাশাপাশি বহু শ্রমিকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। সারাবছর আকুন্দ ফুলের চাহিদা থাকলেও চৈত্র মাস থেকে বৈশাখ মাস ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে সপ্তাহে দুদিন সোমবার সহ সপ্তাহে তিন দিন ভালো বাজার পেয়ে থাকেন কৃষকরা (Farmer)। তাছাড়া শিব পুজোতে চাহিদা বেশি থাকায় আকুন্দ ফুল বিক্রি করে কৃষক ভালো টাকা রোজগার করেন। পাঁচপোতা গ্রামের কৃষক মনোতোষ সরদার জানালেন, আকুন্দ ফুল চাষে খরচ খুব একটা বেশি নেই কিন্তু ভালো বাজারদর পাওয়া গেলে লক্ষাধিক টাকা লাভ হতে পারে। এই সময় চারিদিকে চলছে শিবের মাথায় জল ঢালা। ফলে ফুলের চাহিদাও বেড়েছে অনেকটাই। এক কুড়ি ফুল দুশো টাকার উপরে ও বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন এক ফুল ব্যবসায়ী। এই ফুলটা কেন্দ্র করেও কিছু মানুষের অন্নসংস্থান জুটছে। কিছু মানুষ ফুল তোলার কাজ করে থাকতেন, কিছু মানুষ মালা গাঁথার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। ফলে এই ফুলকে কেন্দ্র করেই এখন লাভের মুখ দেখছেন চাষীরাও।