advertisement
আরও পড়ুনঃ শরীরের উপর এসে পড়লে বগিটা, ওখানেই শেষ! মা’কে ফিরিয়েও ফিরল না আর মেয়ে
তাদের জীবনযাপনে যাতে কোনরকম কষ্ট না হয় তাই তাদের সমস্ত রক্ষণাবেক্ষণের, পড়াশোনা এবং ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিল ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন। এমনটাই ট্যুইট করে জানালেন রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ। স্বামী নিত্যা রুপা নন্দ জি মহারাজের কথায়, ‘যেহেতু একদম শিশুদের রাখার মতো পরিকাঠামো নেই তাই পাঁচ বছর থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত যে সমস্ত ছেলে অথবা মেয়ে তার পরিবারকে হারিয়েছে তাদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে সমস্ত দায়িত্ব মাথায় তুলে নিল রামকৃষ্ণ মিশন। ওরা যদি ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চায় সেই ব্যবস্থাও করা হবে।’
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, লুপ লাইনে ঢোকার সময় ট্রেনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন লুপ লাইনে ঢুকলে গতিবেগ থাকার কথা ১৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। একই সঙ্গে বিশেষ রুট সঙ্কেত জ্বলার কথা। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি বলে খবর। রেল সূত্রে খবর, প্রচণ্ড গতিতে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েই দুর্ঘটনার শিকার হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ২৩ সেকেন্ডের মধ্যে ২৪ কোচের করমণ্ডলের গতিবেগ শূন্য হয়ে যায়। সংঘর্ষের অভিঘাতে ২১ টি কামরা মুহূর্তের মধ্যে লাইন থেকে ছিটকে পড়ে যায়।
রবিবার সকালে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং-এ পরিবর্তনের কারণেই এই দুর্ঘটনা। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা আজ ট্র্যাকটি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করব। সমস্ত মৃতদেহ সরানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য বুধবার সকালের মধ্যে পুনরুদ্ধারের কাজ শেষ করা যাতে ট্রেনগুলি চলতে শুরু করতে পারে।রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার শীঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।