রুদ্র নারায়ন রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: বারুনী মেলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোরকদমে। করোনা পরিস্থিতিতে বিগত দুই বছর মেলা না হওয়ায় মনক্ষুন্ন ছিল মতুয়া ভক্তদের। এবছর বারুনী মেলা হচ্ছে সেই আনন্দে মেতেছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের সকল মানুষ। তবে অতীতে বারুনী মেলা নিয়ে শান্তনু ঠাকুর ও মমতাবালা ঠাকুরের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও এবার সেটাও দুর হয়েছে। দুই পরিবার একসাথে হয়ে মেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি দুই পৃথক মতুয়া সংগঠন এবার মিলেমিশে করতে চলেছেন এই ঐতিহ্যবাহী বারুনী মেলা। অনুমান করা হচ্ছে, এবছর বারুনী মেলায় রেকর্ড ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মেলায় যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন মতুয়া ভক্তরা। আন্দামান-নিকোবর থেকে মতুয়া ভক্তদের যাতে আসতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য এই প্রথমবার অতিরিক্ত জাহাজের ব্যবস্থা করেছেন ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।প্রসঙ্গত, ঠাকুরনগরের বারুনী মেলা বা ঠাকুনগরের মতুয়াধর্ম মহামেলা হল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি বিখ্যাত মেলা। মেলাটি প্রতিবছর চৈত্রমাসেই অনুষ্ঠিত হয়। চলে সাত দিন ব্যাপী। মেলাকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, ছত্রিশগড়, বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িষ্যা সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকেই ভক্ত সমাগম হয়। এমনকি বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকেও মতুয়াভক্তরা আসেন। সকলেই কামনা সাগরে ডুব দিয়ে পুন্যস্নান করেন। প্রতিবছরই হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি মধু কৃষ্নত্রয়োদশীতে পুন্যস্নানের মাধ্যমে শুরু হয় বারুনী মেলা। এবছর বারুনী মেলা উপলক্ষ্যে রেল দপ্তর থেকে স্পেশাল ও এক্সপ্রেস মিলিয়ে ১৫টি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবছর প্রধানমন্ত্রীও ভার্চুয়ালী উপস্থিত থাকতে পারেন বলেও জানা যাচ্ছে ঠাকুরবাড়ী সুত্রে।