প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার ঘটনায় বুধবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আগরপাড়া নিরঞ্জন সেন পল্লি এলাকায়। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়দহ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু! মেঘের সমুদ্রে ডুবে যাওয়া রেলব্রিজ! ভারতের কোথায়?
মৃত অঙ্কিতের বাড়ি বিহারের রসুলপুর এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। নিরঞ্জন সেন পল্লি এলাকায় একটি বাড়ি নিয়ে থাকত অঙ্কিত ও অঞ্জলি। বুধবার সকালে সেখান থেকেই উদ্ধার হয় যুগলের মৃতদেহ।
advertisement
ঘটনার কথা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানায়। খড়দহ থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ ২টি উদ্ধার করে। সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণেই এই আত্মহত্যা কি না, তা খতিয়ে দেখছে খড়দহ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পায়ে হেঁটে পাড়ি দুই বাংলার ৯ অভিযাত্রীর
বিহার থেকে ওই যুবকের বাবা ও মেয়েটির বাড়ির লোকজন বুধবার সকালেই আগরপাড়ার বাড়িতে চলে আসেন। অঙ্কিত ভারতীর বাবা ছেলের এই সম্পর্ক মেনে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তারপরেও কেন অঙ্কিতরা আত্মহত্যা করল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না অঙ্কিতের পরিবারের লোকজন।
বিহার থেকে পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসে প্রথমে আগরপাড়ায় এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে অঙ্কিত। সেই আত্মীয়ই যুগলকে ঘর ভাড়া ঠিক করে দেন। গত ১১ দিন ধরে ওঁরা সেখানেই থাকছিল। বাড়িওয়ালার কাছে তাঁদের আধার কার্ডের জেরক্স কপিও জমা দিয়েছিল। যদিও বাড়িওয়ালাকে প্রকৃত সম্পর্কের কথা জানায়নি। অঙ্কিত বলেছিল, সে ও অঞ্জলি সম্পর্কে ভাই বোন। একটা কাজ জোগাড় করেই তারা অন্যত্র চলে যাবে। কিন্তু, তার আগেই সব শেষ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্যারাকপুরের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অরুণ ঘোষ






