গত ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশিত হয়৷ ৬ জুন ইউসুফ পাঠানকে এই নোটিস পাঠায় বরোদা পুরসভা৷ যদিও বিষয়টি বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসে৷ জানা গিয়েছে, যে জমিটি নিয়ে বিতর্ক সেটি ২০১২ সালে ইউসুফ পাঠানকে বিক্রি করার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিল গুজরাত সরকার৷ অভিযোগ, পাচিল দিয়ে সেই জমিই দখল করে নিয়েছেন পাঠান৷
আরও পড়ুন: একই জায়গা, অভিষেকের বদলে এবার ধরনায় বসতে চান শুভেন্দু! অনুমতি দেবে পুলিশ?
advertisement
তানাদালজা এলাকার ওই জমিটির মালিক বরোদা পুরসভাই৷ ২০১২ সালে ওই জমিটি কিনতে চেয়েছিলেন ইউসুফ পাঠান৷ কারণ ওই জমিটির পাশেই তাঁর বাড়ি তৈরি হচ্ছিল৷ প্রতি বর্গ মিটার জমির দাম বাবদ ৫৭ হাজার টাকা করে দিতে চেয়েছিলেন ইউসুফ পাঠান৷ পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে পাঠানের এই প্রস্তাবও পাস হয়ে যায়৷
কিন্তু বরোদা পুরসভার এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়নি গুজরাত সরকার৷ বরোদা পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি তাদের কাছে অভিযোগ আসে, ইউসুফ পাঠান ওই জমিটি পাচিল দিয়ে ঘিরে ফেলেছেন৷ ওই পাচিল ভেঙে ফেলার জন্য পাঠানকে নির্দেশ দিয়েছে বরোদা পুরসভা৷ দু সপ্তাহের মধ্যে যদি ওই পাচিল ভাঙা না হয়, তাহলে পুর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছে বরোদা পুরসভা কর্তৃপক্ষ৷
তবে বিষয়টিতে রাজনৈতিক রংও লেগেছে৷ কারণ বরোদা পুরসভা বিজেপি পরিচালিত৷ ইউসুফ পাঠান ভোটে জেতার পর পরই যেভাবে তার কাছে নোটিস গেল, তার পিছনে অন্য সমীকরণ রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে৷