গোরক্ষনাথ মন্দিরে বসে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির কড়া সমালোচনা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ৷ তাঁর মতে, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপোস করা উচিত নয়৷ একই সঙ্গে সংসদে কাশ্মীর নিয়ে করা রাহুল গান্ধির মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন যোগী আদিত্যনাথ৷
আরও পড়ুন: "আমরা কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে" : যোগী আদিত্যনাথ
advertisement
উত্তর প্রদেশে তাঁর সরকারের শাসনকালে মুসলিমদের অবস্থা নিয়ে নানা কথা উঠেছে৷ নানা অভিযোগ করেছেন বিরোধীরাও৷ তাঁর সঙ্গে মুসলিমদের সম্পর্ক কেমন, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে যোগী আদিত্যনাথের জবাব, 'মুসলিমরা আমার সঙ্গে যেমন সম্পর্ক রাখেন, আমিও তাঁদের সঙ্গে সেরকম সম্পর্কই বজায় রাখি৷'
আরও পড়ুন: ৮০: ২০-র 'খেলা', উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-র ভবিষ্যৎ জানিয়ে দিলেন যোগী আদিত্যনাথ
তাঁকে গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করার জন্যও দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী৷ যদিও যোগী আদিত্যনাথের দাবি, গোটা রাজ্যের সঙ্গেই তিনি পরিচিত৷ তাঁকে কোন কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হবে, সেই সিদ্ধান্তও তিনি দলের উপরেই ছেড়েছিলেন বলে দাবি করেছেন যোগী আদিত্যনাথ৷ তিনি বলেন, 'গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য মোদিজি, অমিত শাহজির কাছে আমি কৃতজ্ঞ৷'
২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল বিজেপি৷ এবারেও তার পুনরাবৃত্তি হবে বলেই দাবি করছেন যোগী আদিত্যনাথ৷ তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রে মানুষের আস্থা অর্জন করা বড় কৃতিত্ব৷ উত্তর প্রদেশ সহ গোটা দেশের মানুষই যে ২০১৪, ২০১৭ এবং ২০১৯-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরে আস্থা দেখিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷ স্বাধীনতার পর কোনও জননেতা সাধারণ মানুষের এতখানি আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হননি৷' এ বারেও বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের সম্ভাব্য ফল নিয়ে যে সমস্ত পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ যোগী আদিত্যনাথ৷