২ জুন সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা স্টেশনের অদূরে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মেইন লাইন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও, ভুলবশত লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই লুপ লাইনে সেইসময় দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। মুখোমুখি সংঘর্ষে মালগাড়ির উপরে উঠে যায় এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন-সহ কয়েকটি কামরা। সেই সময় পাশের ডাউন লাইন দিয়ে আসছিল যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের শেষভাগেও ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অসংখ্য মানুষ, আহত হন হাজারের অধিক যাত্রী।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ধারাল অস্ত্র দিয়ে এ কী করল স্ত্রী! পুরুষাঙ্গ কেটে গেল স্বামীর, কান্দিতে চাঞ্চল্য
সিএসআর-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, সিগন্যাল মেরামতিতে ত্রুটি থাকার কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সিগন্যাল মেরামতিতে ত্রুটি ছিল। জানানো হয়েছে, লেভেল ক্রসিং গেট ৯৪ ইলেকট্রিক লিফট ব্যারিয়ার বদলের কাজ চলছিল। সেই সময় সার্কিটটি ঠিকভাবে কাজ করছিল না। সেই কারণেই ভুল ওয়্যারিং বা তারের সমস্যা হয়। আর তাতেই যাত্রীবাহী করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকে মালগাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে। ফিল্ড সুপারভাইজারের দায়িত্ব থাকে ওয়্যারিং ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, তা দেখা। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্বও সঠিকভাবে পালন করেননি বলেই উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার এ এম চৌধুরী নিজের রিপোর্টে দাবি করেছেন, বিভিন্ন স্তরে সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির কারণে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং এবং টেলিকমিউনিকেশন দফতরের কিছু গলদের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তাই যান্ত্রিক গোলযোগ হলেও তা মানুষের ভুলেই হয়েছিল।