এই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধেই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন কুস্তিগীরেরা৷ দীর্ঘ সময় ধরে দিল্লি যন্তরমন্তরে চলেছিল আন্দোলন৷ যে আন্দোলন ভন্ডুল করতে পদকজয়ী কুস্তিগীরদের উপরে বেপরোয়া ভাবে লাঠিচার্জেরও অভিযোগ উঠেছিল৷ যদিও, শুরু থেকেই ব্রিজভূষণ দাবি করে আসছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ ভুল। তিনি একবার এটাও বলেছিলেন যে, যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তিনি ফাঁসিতে ঝুলতেও দ্বিধা করবেন না।
advertisement
গত বছর মে মাসে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত এই মামলায় পর্যাপ্ত প্রমাণ দেখে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল। অতিরিক্ত প্রধান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসি এম এম) প্রিয়াঙ্কা রাজপুত ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে IPC এর ধারা ৩৫৪ (মহিলার মর্যাদায় আঘাত করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ বা অপরাধমূলক বল), ৩৫৪ এ (যৌন নির্যাতন), এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক হুমকি) এর অধীনে অভিযোগ গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারক বলেছিলেন যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে।
কিন্তু, পাটিয়ালা হাউস কোর্টে দিল্লি পুলিশ যে রিপোর্ট দিয়েছে, সেই রিপোর্ট মেনে নিয়ে এদিন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আদালতে চার্জশিট দেওয়ার সময়েই পকসো মামলাটি বাতিলের আর্জি জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় পুলিশ। এ বিষয়ে অভিযোগকারিণী নাবালিকা এবং তার পিতাকে নোটিস দেয় আদালত। তাঁদের জবাব জানতে চাওয়া হয়। ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে আদালতে তাঁরা সশরীরে হাজিরা দেন। সেখানে তাঁরা জানান যে, পুলিশের রিপোর্টে তাঁদের আপত্তি নেই। তার ভিত্তিতেই ব্রিজভূষণকে পকসো মামলা থেকে রেহাই দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: গুজরাতের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে দু’টো কথা মোদির! ‘হয় শান্তিতে রুটি খান, নাহলে…’
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটের আগে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটের মতো কুস্তিগিরেরা অভিযোগ করেছিলেন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। সেই সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লির আদালতে যৌন নিগ্রহের মামলা হয়। চলতি বছরের ভারতীয় কুস্তি সংস্থার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সঞ্জয় সিংহকে। ঘটনাচক্রে, তিনি ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।