আরও পড়ুন: সাত সকালে কেঁপে উঠল মাটি, ভূমিকম্পের প্রবল আতঙ্কে ঘর ছাড়ল মানুষ!
জানা গিয়েছে, নির্যাতন পরিমান এতটাই বেড়ে যায় যে, সময়ের আগে তার সন্তানের ডেলিভারিও করিয়ে দেওয়া হয়। মহিলার ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপে রাখা হয়, কিন্তু তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় সাত দিন পায়ে বেঁধে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়।
advertisement
স্থানীয় প্রতিবেশীরা মহিলার বাবার বাড়িতে খবর দেয়। তিনি দ্রুত সেখানে পৌঁছে মেয়েকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে মেয়েকে চিকিৎসা করানো হয় এবং পরিবারের সদস্যরা জাতীয় বজরং দলের কর্মীদের সাথে নিয়ে সিরোহি এসপির কাছে ন্যায়ের আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বসে থাকা যাত্রীর বুকের উপর উঠে গেল বাস! অলৌকিকভাবে বাঁচল যুবক, দেখুন ভিডিও
ভুক্তভোগীর বাবা সিরোহি এসপির কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন এবং অভিযুক্ত পাদরির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন। পরিবারের দাবি, মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করেছে এবং তাদের মেয়েকেও সেই ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্তের জন্য বিভিন্ন দল গঠন করেছে।
জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ অনুযায়ী, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মহিলার উপর মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে এবং তাকে ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করার চেষ্টা করেছে। মানসিক চাপের কারণে মহিলার মনের ভারসাম্যও নষ্ট হতে শুরু করে।
এই ঘটনা যখন হিন্দু সংগঠনগুলির কানে পৌঁছায়, তারা ব্যাপক প্রতিবাদ জানায়। সংগঠনের সদস্যরা মহিলার ‘গৃহপ্রবেশ’ করানোর আগে তাকে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে ও হানুমান চালিসার পাঠ করিয়ে শুদ্ধিকরণ করেন।
জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে পুলিশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। মহিলার নবজাত শিশুকেও তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত পাদরির খোঁজ চলছে এবং এই ঘটনার পিছনে কোনো সংগঠন বা পরিকল্পনাকারী জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হিন্দু সংগঠনগুলির উদ্যোগে ভুক্তভোগীর বাড়িতে হানুমান চালিসার পাঠ ও শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সদস্যরা মহিলার এবং তার শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তারা এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।