এদিকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্যোমমিত্রা’। এই নামটা এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে। ‘ব্যোম’ শব্দের অর্থ হল মহাকাশ আর ‘মিত্র’ শব্দের অর্থ হল বন্ধু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, ওই মহিলা রোবট মহাকাশচারীর মধ্যে মডিউল প্যারামিটার, ইস্যু অ্যালার্ট মনিটর করা এবং লাইফ সাপোর্ট অপারেশন কার্যকর করার ক্ষমতা রয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ৬টি প্যানেল পরিচালনা এবং প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো কাজও করতে পারবে সে।
advertisement
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
ড. জিতেন্দ্র সিংয়ের আরও ব্যাখ্যা, ব্যোমমিত্রা মহাকাশচারীকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে মহাকাশের পরিবেশে মানুষের কার্যকলাপ অনুকরণ করতে পারে। সেই সঙ্গে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের সঙ্গে যোগাযোগও গড়ে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
উল্লেখযোগ্য ভাবে, গগনযান চালু করার আগে পরীক্ষামূলক যান ফ্লাইট টিভি ডি১ গত বছরের ২১ অক্টোবরই সম্পন্ন হয়েছিল। এটি ক্রু এস্কেপ সিস্টেম এবং প্যারাসুট সিস্টেমের যোগ্যতা অর্জনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। একটি অফিসিয়াল বিবৃতি অনুযায়ী, সমস্ত প্রস্তুতিই সম্পন্ন। এর মধ্যে অন্যতম হল, লঞ্চ ভেহিকেলের মানবিক রেটিং সম্পন্ন করা এবং সমস্ত পরিচালনার পর্যায়ের যোগ্যতাও পর্যালোচনা করা।
গগনযান প্রকল্পটি ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে মহাকাশচারীদের একটি ক্রু চালু করবে। তারপরে ভারতে সমুদ্রের জলে অবতরণ করিয়ে মানব মহাকাশচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে। ড. জিতেন্দ্র সিং জানান, গগনযান ৩ গত বছরের ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। আর তা প্রত্যাশা অনুযায়ী স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করছে। এর দ্বারা পাঠানো ইনপুটগুলি সময়ে সময়ে শেয়ার করা হবে।