এয়ারলাইন জানায় লোকটির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে এবং তাকে এখন গুয়াহাটি পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। মুম্বই থেকে রাত ৯ টায় ছেড়েছিল বিমানটি। মোটামুটি মধ্যরাতের গন্তব্যে যায়। গত দুই মাসে বিমানে যাত্রীদের উপরে এ নিয়ে চতুর্থবার যৌন হেনস্তার ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন: আবার বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত বাংলা, জি-টোয়েন্টি-তে রাজ্যের প্রকল্পের প্রশংসা
advertisement
একটি সংবাদ মাধ্যমকে মহিলাকে বলেন, তিনি বিমানের সিটে বসেছিলেন এবং কেবিনের আলো নিভে যাওয়ার পরে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘুমানোর আগে তিনি আর্মরেস্ট নামিয়ে নেন কিন্তু জেগে উঠে দেখেন আর্মরেস্টটি উঠে আছে তাঁর পাশে বসা পুরুষ সহযাত্রীটি তাঁর খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।
আরও পড়ুন: G20-তে হালকা মুডে জো বাইডেন-শেখ হাসিনা, তুললেন সেলফি
তিনি বলেছিলেন, “আমার খুবই অদ্ভুত লাগে কারণ আর্মরেস্টটা আমি নামিয়ে রেখে ছিলাম। প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, তাই ওটা উঠে আছে দেখে খুব একটা ভাবিনি। আমি আবার ওটা নামিয়ে ঘুমাতে গেলাম”। কিছুক্ষণ পরে জেগে উঠে মহিলা দেখেন, পুরুষ যাত্রীর হাত তাঁর গায়ের উপর। কিন্তু তার চোখ বন্ধ থাকায় তিনি ভাবেন ঘুমের ঘোরেই হয়তো ভুল করে এমনটা হয়েছে। তাঁর পুরুষ সহযাত্রীটি চোখ অর্ধেক বন্ধ ছিল, ঘুমের ভান করেছিলেন তিনি।
কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই পুরুষ সহ-যাত্রী তাঁকে জড়িয়ে ধরে এবং খারাপ ভাবে স্পর্শ করে, মহিলা জানান যে তিনি চিৎকার করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় করে উঠতে পারেননি। তারপর তিনি সাহস সঞ্চয় করে তিনি লোকটির হাত সরিয়ে চিৎকার করেন। সিটের লাইট জ্বালিয়ে কেবিন ক্রুকে ডাকেন। মহিলা বলেন, “যখন আমি চিৎকার করছিলাম, কাঁদতে কাঁদতে ঘটনাটি বর্ণনা করছিলাম তখন তিনি যা করেছেন তার জন্য ক্ষমা চাইতে শুরু করেছেন”।
মহিলা যাত্রী যৌন হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করায় বিমানের ওই পুরুষ যাত্রীকে গুয়াহাটিতে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এয়ারলাইনের সহায়তায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশের কাছে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। ওই মহিলা যাত্রী সিআইএসএফ, এয়ারলাইন এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে তাকে থানায় মামলা নথিভুক্ত করতে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ জানায়।