অসম পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহিলা ছাড়াও রয়েছেন ওই মহিলার প্রেমিক, রয়েছেন মহিলার এক ছোটবেলার বন্ধুও৷ এদের তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷ মেঘালয় থেকে ওই মহিলার শাশুড়ির দেহাংশ উদ্ধার করা হয় কয়েকদিন আগে৷ তার পরেই খুনের কিণারা করা হয়৷ আততায়ী স্বীকার করে খুনের কথা৷
আরও পড়ুন: হাতুড়ের কীর্তি! রক্ত বেরোনো বন্ধ করতে কানে মারাত্মক এমসিল আঠা ঢেলে দিল হাতুড়ে
advertisement
আরও পড়ুন: বালিশ দিয়ে মুখ চেপে গোপনাঙ্গে আঘাত, প্রেমিকের জন্য স্বামীকে মারল ৪৭ বছরের মহিলা
খুনের বর্ণনা দিতে গিয়ে আততায়ী পুলিশকে জানিয়েছে, শাশুড়ি ও স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য গুয়াহাটির নুনমাটি এলাকায় দু’জনকে খুন করে সে৷ তার পর টুকরো করে কেটে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখে৷ এর পর সে সেই ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দেয়৷ ইতিমধ্যে এই মৃতদেহ দু’টি নিয়ে মেঘালয়ের ডাউকি ও চেরাপুঞ্জিতে গিয়ে ফেলে রাখে সে৷
এর পর বন্দনা তাঁর স্বামী অমরজ্যোতি দে ও শাশুড়ি শঙ্করী দে-এর নামে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করে৷ পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই এই পদক্ষেপ করেছিল সে, মনে করা হচ্ছে তমনই৷ এর কিছুকাল পরে অমরজ্যোতির তুতোভাইও নিখোঁজের অভিযোগ করে৷ তার পরেই তদন্ত পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়৷ পুলিশ আন্দাজ করে, ঘটনায় বন্দনার কোনও ভূমিকা রয়েছে৷ তার পর থেকে পূর্ণমাত্রায় তদন্ত চালিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেহ উদ্ধার করা হয়৷ শেষে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত৷ বন্দনা খুনের কথা স্বীকার করে৷
