মৃত শিশুদের মধ্যে ছিল ১০ বছরের আয়ুষ, ৮ বছরের অঞ্জুবেন, ৪ বছরের আনন্দি এবং ৩ বছরের ঋত্বিক। এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া।
আরও পড়ুন: ৭০ হাজারের iPhone, এত টাকা কোথা থেকে এলো? বাবার প্রশ্নে চরম অপমানিত ছেলে! তারপর যা হল…
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ধ্রোল থানার পুলিশ জানায়, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুয়ো থেকে একে একে পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ধ্রোল সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
advertisement
পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে, পারিবারিক অশান্তি বা মানসিক চাপ থেকেই এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভানুবেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভানুবেনের সংসারে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। তার উপর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ভানুবেন ছিলেন মৃদুভাষী ও সদাহাস্যময় একজন নারী, কেউ ভাবতেই পারেনি তিনি এমন ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
এই ঘটনার পর এলাকায় শোকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসীরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, “যদি সময়মতো কেউ পাশে থাকত, তাহলে হয়তো এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।”
পুলিশ বর্তমানে আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।