এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভাগ্যশ্রী মারুতি পাচাঙ্গে নামে ওই মহিলার দাবি, তাঁর মেয়ে দীপালি মারুতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল৷ কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনও অস্বাভাবিকতার কথা উল্লেখ করা ছিল না৷
ওই মহিলার দাবি, চাপের মুখেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অদল বদল করতে বাধ্য হয়েছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক৷ এবার নিজের মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনারও নতুন করে তদন্ত দাবি করেছেন ওই মহিলা৷
advertisement
গত বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের ফলটনের একটি হোটেলের ঘর থেকে সরকারি হাসপাতালের ওই তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল৷ তিনি ফলটন উপজেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন৷ মৃত্যুর আগে নিজের হাতের তালুতে সুইসাইড নোট লেখেন তিনি৷ সেখানে গোপাল বাদানে নামে পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে তাঁকে বার বার ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক৷ এ ছাড়াও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং মেডিক্যাল পরীক্ষার পর ফিটনেস রিপোর্ট অদল বদলেও পুলিশ এবং রাজনীতিবিদদের একাংশ তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি করতেন বলে সুইসাইড নোটে অভিযোগ করে যান ওই তরুণী চিকিৎসক৷ একজন সাংসদের বিরুদ্ধেও সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা চিকিৎসক৷ পুলিশের মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে ফিট ঘোষণা করার জন্য ওই সাংসদ তাঁকে ফোনে হুমকি দেন বলে অভিযোগ করে গিয়েছেন ওই তরুণী চিকিৎসক৷
এবার ভাগ্যশ্রী মারুতি পাচাঙ্গে নামে ওই মহিলাও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে অদল বদলের একই অভিযোগ তোলার পর এই ঘটনা নতুন মোড় নিল৷ ওই মহিলা্র মেয়ের সঙ্গে অজিঙ্কা হানমান্ত নিমবালকর নামে ভারতীয় সেনার একজন অফিসারের বিয়ে হয়েছিল৷ কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে তাঁর মেয়ের উপরে অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ ওই মহিলার৷ শেষ পর্যন্ত গত ১৯ অগাস্ট আত্মাঘাতী হন ওই তরুণী৷ যদিও ওই মহিলার সন্দেহ, তাঁর মেয়েকে খুনও করা হয়ে থাকতে পারে৷
ওই মহিলার দাবি, তাঁর মেয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন৷ তাঁর একটি দেড় বছরের কন্যাসন্তানও ছিল৷ এই অবস্থায় কোনওভাবেই তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না বলেই দাবি ভাগ্যশ্রীর৷ তাঁর আরও অভিযোগ, মেয়ের মৃত্যুর একমাস পরেও পুলিশ তাঁদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেয়নি৷ শেষ পর্যন্ত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে তাঁরা দেখেন, সেই রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই৷
ইতিমধ্যেই চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় গোপাল বাদানে নামে পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর এবং প্রশান্ত বাঁকার নামে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ দু জনের নামই সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক৷
