২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাঁর। সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত তাঁকেই সভাপতি রাখা হবে। বিজেপি সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক। একইসঙ্গে সভাপতি হিসেবে তাঁর কাজে সন্তুষ্ট বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। সবদিক থেকে তাঁর দিকেই পাল্লা ভারী। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হন তিনি। ২০২০ সালে তাঁকে সর্বসম্মতভাবে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে মনোনীত করে বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন: বগটুই মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের আর্জি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত
দলের সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ রাজ্যে সাংগঠনিক নির্বাচন পর্ব সম্পন্ন হলে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। তবে অভ্যন্তরীণ নির্বাচন নিয়ে বিজেপিতে কোনও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নেই। গত অগাস্টে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। গত ৮ জুন রাজ্যে আসেন জেপি নাড্ডা। কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের অনেক আগে থেকেই বিমানবন্দর চত্বরে ভিড় জমান দলীয় কর্মী সমর্থকরা। দলীয় পতাকা ফুল ঢাক ঢোল নিয়ে তাঁরা স্বাগত জানাতে হাজির হন। জেপি নাড্ডা বিমানবন্দর থেকে বাইরে বের হতেই উৎসবের চেহারা নেয় এলাকা। পুষ্পবৃষ্টি, স্লোগানে তখন গমগম করে বিমানবন্দর। কার্যত দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে ভিড়ে মিশে যান জে পি নাড্ডা। তাঁর শরীরী ভাষায় ফুটে ওঠে আগামী দিনে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধতার ছবি।দলীয় কর্মী সমর্থকদের ঠাসা ভিড়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে তাঁর কনভয়। এর পর ধীরে ধীরে নিউ টাউনের হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তাঁর কনভয়।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ! মহারাষ্ট্রে বেমালুম উলটে গেল পড়ুয়া-বোঝাই স্কুল বাস, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শিউরে উঠবেন
বিধানসভা ভোটের ব্যর্থতার দগদগে ক্ষত। দলের শীর্ষস্তরে নেতাদের প্রকাশ্যে চলে আসা দ্বন্দ্ব। তার ওপর একের পর এক নেতার পদ্ম শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে ঘর ওয়াপসি। কিছুটা আগোছাল অবস্থায় যখন বঙ্গ বিজেপি, সেই সময়েই রাজ্যের মাটি ছুঁলেন গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি জগত্ প্রকাশ নাড্ডা আর দলীয় নেতৃত্বকে একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখেও লড়াইয়ের বার্তাই ছিল।
RAJIB CHAKRABORTY