সোনম রঘুবংশী ইনদওরের এক ধনী পরিবারের মেয়ে। বাবার ব্যবসা বেশ সমৃদ্ধ। সোনম পারিবারিক ব্যবসায় সাহায্যও করতেন। এই সময়ে তিনি রাজ কুশওয়াহার প্রেমে পড়েন, যিনি তাঁর বাবার ফার্মে কাজ করতেন। রাজ সোনমের চেয়ে ছোট ছিলেন, কিন্তু তাঁরা প্রেমে পড়েন। সোনম তাঁর প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েন যে, পরিবারের সমস্ত পরামর্শ তিনি উপেক্ষা করতে শুরু করেন। তবে, পরিবার সোনমের বিয়ে রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে দেয়। রাজা ইনদওরের একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। ১১ মে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সোনমের মন অন্যত্র ছিল।
advertisement
বিয়ের মাত্র ছয় দিন পরেই ষড়যন্ত্রটি রচিত হয়েছিল। সোনম রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে মিলে রাজাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁরা হানিমুনের ভান করে রাজাকে মেঘালয়ের শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। ২৩ মে, ২০২৫ তারিখে পাহাড়ে হাঁটার সময় খুনিরা রাজাকে আক্রমণ করে। তাঁর মৃতদেহ একটি খাদে ফেলে দেওয়া হয়। সোনম তাঁর শাশুড়ি উমা রঘুবংশীকে ফোন করে মিথ্যা বলেছিলেন যে, তিনি একাদশীর উপবাস করছেন। বাস্তবে পুলিশ তদন্তে জানা গিয়েছে, সোনম নিজেই খুনিদের জন্য টিকিট বুক করেছিলেন। পরিকল্পনাটি তিনবার ব্যর্থ হয়েছিল, কিন্তু চতুর্থ প্রচেষ্টা সফল হয়েছিল। রাজ কুশওয়াহা ছিলেন মূল, কিন্তু সোনমই সব কিছু পরিকল্পনা করেছিলেন।
খুনের পর সোনম গাজিপুরের একটি ধাবায় আত্মসমর্পণ করেন। রাজ কুশওয়াহাকেও গ্রেফতার করা হয়। দুজনেই এখন জেলে। পুলিশ আরও পাঁচজন খুনিকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সোনম স্বীকার করেছেন যে, তিনি কখনও রাজাকে বিয়ে করতে চাননি। জেল কর্মকর্তারা বলছেন যে বন্দীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা আছে, কিন্তু প্রেমিকের জন্য এই উপবাস পালন কি সোনম করবেন?