বেঙ্গালুরুর এক নির্মাণাধীন ভবনের কাছে ২২ মার্চ সন্ধ্যায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী লোকনাথ সিংহের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার দু’দিন পর, ২৫ মার্চ পুলিশ তার ১৯ বছর বয়সী স্ত্রী ইয়াশস্বিনী ও তার মা হেমা বাইকে গ্রেফতার করেছে।
advertisement
পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, ইয়াশস্বিনী ও লোকনাথ সিংহ কিছু মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু ইয়াশস্বিনীর পরিবারের এই বিয়ে পছন্দ ছিল না। বিয়ের পর, স্ত্রী সন্দেহ করতে শুরু করেন যে লোকনাথ পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত, ফলে ইয়াশস্বিনী কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু সেখানে ফিরে সে যে এমন ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করবে তা ভাবতে পারেননি স্বামী।
২২ মার্চ, ইয়াশস্বিনী লোকনাথের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেন এবং তাঁকে বাগালুর এলাকায় ডেকে নেন। এরপর দু’জনে সোলদেভানাহাল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হন, যেখানে ইয়াশস্বিনী তার স্বামীর খাবারে কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। পুলিশ জানায়, হেমা বাইও তাঁদের পিছু নিয়েছিলেন।
লোকনাথ অচেতন হয়ে পড়তেই কাজ শুরু করে দেন ইয়াশস্বিনী ও হেমা। লোকনাথকে বারবার ছুরিকাঘাত করে তারা। বিশেষ করে ঘাড়ের পেছনে গভীর আঘাত করায় লোকনাথ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডকে ব্যবসায়িক শত্রুতার ফলাফল মনে করেছিল, কারণ লোকনাথের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার মামলা চলছিল। তবে তদন্তে উঠে আসে স্ত্রীর ষড়যন্ত্রের তথ্য। বর্তমানে অভিযুক্ত মা-মেয়েকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।