গত ২ মার্চই ফল বেরিয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে। তাতে রমরমিয়ে জিতেছে মোদি-শাহের বিজেপি। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় ৩৩টি আসন পেয়েছে পদ্মশিবির।
আরও পড়ুন: এত দিন ভুল জানতেন, কাগজ দিয়ে নয়! এই জিনিস দিয়ে তৈরি হয় টাকার নোট...
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে ত্রিপুরা জুড়ে৷ নির্বাচনের আগেই নিজেদের পোস্টার-ব্যানারে নরেন্দ্র মোদী এবং মাণিক সাহার ডাবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার কথা প্রচার করেছিল বিজেপি। ফলে ধরে নেওয়াই যায়, মাণিক সাহাকেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে সরকার গঠন করতে চেয়েছে পদ্মশিবির৷ তবে এ নিয়ে কোনও স্পষ্ট ঘোষণা কখনওই করা হয়নি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে। যা, কিছুটা হলেও অদ্ভুত ঠেকছে রাজনৈতিক মহলের কাছে। কারণ, নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে নির্বাচনের ময়দানে নামাই বিজেপির বহু পরীক্ষিত স্ট্র্যাটেজি। এক্ষেত্রে, নজরে রয়েছেন, ধনপুর কেন্দ্রের জয়ী বিজেপি প্রার্থী প্রতিমা ভৌমিক।
advertisement
তেইশের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ধনপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিককে। সেই আসনে জয়ীও হয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাজ্যের নির্বাচনে ভোটে লড়ানোই এই বিজেপি নেত্রীকে নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রতিমার। পাশাপাশি, তিনি জনজাতির প্রতিনিধিও বটে। তাই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁকে যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পছন্দ, তা দলের অন্দর থেকেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে উভয় শিবিরই৷ তাঁদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেটা স্থির করবে দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বই। ইতিমধ্যেই এবারে হেরে গিয়েছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মা৷ হেরে গিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
প্রসঙ্গত, ধনপুর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকারেরও আসন ছিল। যদিও এবার তিনি ভোটে লড়েননি৷