অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের ধনীতম ও দরিদ্রতম দুই বিধায়েকর সম্পতদের পরিমাণ জানলে অবাক হবেন। দেশের ধনীতম বিধায়ক কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা তথা ব্যবসায়াী ডি কে শিবকুমারের মোট সম্পদে পরিমাণ ১,৪১৩ কোটি টাকা। অপরদিকে, দেশের দরিদ্রতম বিধায়ক বিজেপির নির্মল কুমার ধারা নোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৭০০ টাকা। এই রিপোর্ট থেকে আরও একবার স্পষ্ট হয় ভারতে সম্পদের অসম বন্টনের ছবিটা।
advertisement
এডিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ডিকে শিবকুমারের পর দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধনীতম বিধায়কও কর্ণাটক থেকেই। দ্বিতীয় স্থানে আছেন নির্দল বিধায়ক কেএইচ পুট্টস্বামী গৌড়া। তাঁক মোট সম্পদ ১২৬৭ কোটি টাকা। কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয় কৃষ্ণ। তাঁর সম্পদ, ১,১৫৬ কোটি টাকা। এছাড়া চতুর্থ স্থামে টিডিপির এন চন্দ্রবাবু নাইডু (৬৬৮ কোটি), পঞ্চম গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক জয়ন্তীভাই সোমাভাই প্যাটেল (৬৬১ কোটি)।
গোটা দেশের নিরিখে সবচেয়ে গরিব বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গের।বাঁকুড়ার ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল কুমার ধারার নামে সম্পত্তি মাত্র ১ হাজার ৭০০ টাকা। গরীবদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ওড়িশার নির্দল বিধায়ক মারাকাণ্ডা মুদুলি। তাঁর মোট সম্পত্তি ১৫ হাজার টাকার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাঞ্জাবের আপ বিধায়ক নরিন্দর পাল সিং, তাঁর মোট সম্পত্তি ১৮ হাজার ৩৭০ টাকার। পঞ্চম পঞ্জাবের এএপি-র বিধায়ক নরিন্দর কৌর ভারাজ। তাঁর মোট সম্পত্তি ২৪,৪০৯ টাকা। পঞ্চম ঝাড়খণ্ডের জেএলএম বিধায়ক মঙ্গল কালিন্দী। মোট সম্পত্তি ৩০ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, এডিআর রিপোর্টে আরও প্রকাশ করা হয়েছে যে ভারতে প্রায় ৪৪% বর্তমান বিধায়কের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সহ ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ৪০০১ বিধায়কের মধ্যে ১৭৭৭ বিধায়কের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে গুরুতর ফৌজদারি মামলায় সর্বাধিক শতাংশ বিধায়কের তালিকায় দিল্লি শীর্ষে রয়েছে। রাজধানীতে মোট ৭০ জনের মধ্যে প্রায় ৫৩% অর্থাৎ মোট ৩৭ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে।