বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্বাস্থ্য ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ইয়ান লিপকিনের মতে, কোনও ভাবেই ওমিক্রনকে হাল্কা ভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। দেশের করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে তা এই ওমিক্রনের উপরেই আসার সম্ভাবনা। বিশেষজ্ঞের মতে, যাঁরা করোনাভাইরাসের টিকা েনননি, এবং যাঁদের এখনও করোনা হয়নি তাঁদের এবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্য বড় রোগের চেয়েও অনেক আগে এই ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে করোনার টিকা নেওয়া থাকলেও, ওমিক্রন আক্রান্ত হতে পারেন কেউ। সেক্ষেত্রে অনেক বেশি করোনাবিধি মেনে চলতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ওমিক্রন জোর তৎপরতা শুরু কেন্দ্রের, নয়ডায় জারি ১৪৪ ধারা
করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের (Omicron) আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। ভারতেও করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই প্রতিদিন ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তার উপর বর্ষশেষের ছুটি ও উৎসবের মেজাজে রয়েছে দেশ। দিল্লি সমস্ত উৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও, বাংলায় এমন কোনও নির্দেশিকা নেই। বরং বড় দিন থেকে ইংরেজি নববর্ষের দিন পর্যন্ত রাতের কার্ফু ও বিধিনিষেধও হাল্কা করেছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে করোনার বিধি মানার ক্ষেত্রে অবশ্যই নজর দিতে হবে মাস্ক ব্যবহারে।
আরও পড়ুন: ভয়ংকর হচ্ছে ওমিক্রন, পিছিয়ে যাবে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন? খোদ আদালতের আর্জি!
ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুতি বা কাপড়ের মাস্ক, যেগুলি ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করা যায় সেগুলি ওমিক্রনের থাবা থেকে রক্ষা করতে অপারগ। ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ডের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার অধ্যাপক ট্রিশ গ্রিনহালঘের দাবি, 'এটা হয় খুব ভালো হবে, নয়তো অত্যন্ত খারাপ কিছু হবে। নির্ভর করছে কী ধরনের কাপড় সেই মাস্কে ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর।' বিশেষজ্ঞের দাবি, দ্বিস্তরীয় বা কিংবা তৃস্তরীয় মাস্ক, যেগুলিকে একাধিক কাপড়ের মিশ্রণ রয়েছে সেগুলি ওমিক্রন ঠেকাতে অনেক বেশি কার্যকর। কিন্তু এই মুহূর্তে বাজারে ছেয়ে গিয়েছে পাতলা এক কাপড়ের ফ্যাশন মাস্ক, যা কোনও কাজেই লাগবে না।