১৯৫৪ সালে ৩৫এ ধারা চালুর সাংবিধানিক নির্দেশ দেন তত্কালীন দেশের রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ৷ নেহরু সরকারের পরামর্শেই ওই ধারা প্রযোজ্য হয় কাশ্মীরে৷ সংসদে বিল আনা হয়৷ জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনে পঞ্জাবিদের নিয়োগের তীব্র বিরোধিতা শুরু করেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা৷ এই কারণেই, ১৯২৭ সালে একটি আইন এনেছিলেন মহারাজা হরি সিং৷ সেই আইনে কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দাদের কিছু নির্দিষ্ট সুবিধা দেওয়া হয়৷ স্বাধীনতার পরে ১৯৫২ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরাল নেহরু ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা দিল্লি চুক্তি সই করেন৷ দিল্লি চুক্তিতে জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের কিছু বিশেষ সুবিধায় সম্মতি জানানো হয়৷
advertisement
৩৫এ ধারায় কী বলা হচ্ছে?
এই ধারায় জম্মু-কাশ্মীর সরকার কোনও ব্যক্তিকে কাশ্মীরের স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার রাখে৷ স্থায়ী নাগরিকরা কিছু বিশেষ পান৷ কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই জম্মু-কাশ্মীরে জমি বা সম্পত্তি কেনা-বেচা, সরকারি চাকরি ও রাজ্যের স্কলারশিপ পাবেন৷
রাজ্যের বাসিন্দা কোনও মহিলা রাজ্যের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। তাঁর উত্তরাধিকারীদেরও সম্পত্তির উপরে অধিকার থাকে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান কী?
এনডিএ সরকার জম্মু-কাশ্মীরের জন্য ৩৫এ ধারা চায় না৷ এই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে আগেই সতর্ক করেছিল কেন্দ্র৷