কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবারই দেশজুড়ে প্রতিটি রাজ্যকেই জিএসটি বাবদ বকেয়া টাকা দেওয়া হয়। মূলত চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত জিএসটি বাবদ বকেয়া টাকা দেওয়া হয়। সেই খাতেই ৮১৪ কোটি টাকা রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিএসটি-র বকেয়া টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে সরব হন।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলের প্রতীক কাড়ার হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, পাল্টা 'অরণ্যদেব' কটাক্ষ কুণালের
শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠিও লেখেন জিএসটির বকেয়া টাকা নিয়ে। যদিও রাজ্যের দাবি এখনও কয়েকশো কোটি টাকা জিএসটি বাবদ বকেয়া রয়েছে কেন্দ্রের কাছে। শুক্রবার কেন্দ্র সরকারের তরফে তা নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় ৮২০০ কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য । মোট ১১ লক্ষ ৩৭ হাজার বাড়ি তৈরির বরাদ্দ হিসেবেই এই টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্র ৬০ শতাংশ ও রাজ্য ৪০ শতাংশ টাকা দেয়। সেই হিসেবেই রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৮২০০ কোটি টাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: হয়নি জামিনের আবেদন, ফের ১৪ দিন হাজতবাস অনুব্রতর, চাপে রাখছে ইডি
তবে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে রাজ্যকে একাধিক শর্ত দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম ব্যবহারের পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনাতেও টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক শর্ত।
ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাওয়ায় বৃহস্পতিবারই মুখ্য সচিব একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসকদের। প্রকল্পের ক্ষেত্রে যাতে কোনও অনিয়ম না হয় তার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের।