কয়েকমাস আগেও দুজনের সম্পর্ক ছিল আদায়-কাঁচকলায়। আব্দুল মান্নানকে ছাড়াই প্রদেশ কংগ্রেসের সব অনুষ্ঠান করতেন অধীর চৌধুরী। প্রদেশ সভাপতিকে এড়াতে বিধান ভবনে যেতেন না মান্নান।
একটি ফ্যাক্টর দুজনকে কাছাকাছি এনেছে অতি সম্প্রতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধীর ও মান্নান দুজনই কট্টর মমতা বিরোধী। সেই সূত্রেই মানস ভুঁইয়াকে টপকে মান্নান বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। কিন্তু, তাতে কি দুই নেতার মধ্যে ফাটল আদৌ দূর হয়েছে। নাকি ভোট মিটতেই আবার দূরত্ব বাড়ছে।
advertisement
দশ জনপথে নির্বাচন সংক্রান্ত রিপোর্ট দাখিলের প্রসঙ্গে ফের এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পর সোমবার এই রিপোর্ট সোনিয়া গান্ধিকে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
অধীর প্রদেশ নেতৃত্বের রিপোর্ট কংগ্রেস সভানেত্রীকে দিলেও আলাদা রিপোর্ট দিয়েছেন মান্নান।
রাজ্য স্তরে দুই শীর্ষনেতার মধ্যে আবার যাতে বিরোধ তৈরি না হয়, তাই কড়া বার্তা িদয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। দশ জনপথে সোমবারের বৈঠকে মান্নানকে সোনিয়ার নির্দেশ, মিলেমিশে কাজ করুন।
মান্নানকে বিরোধী দলনেতা করার নেপথ্যে জোরালো সমর্থন ছিল অধীরের। কিন্তু মান্নানকে ঘিরে কংগ্রেসের অধীর বিরোধী চক্র আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এমনকী শান্তিপুরে কংগ্রেসের চমকপ্রদ জয়ের পরও বিজয় সমাবেেশ দেখা যায়নি প্রদেশ সভাপতিকে।