মোট ছটি প্রকল্পকে জি-টোয়েন্টি সামিটের আর্থিক সংক্রান্ত আলোচনা সভার মধ্যে আনা হয়েছিল। যার মধ্যে ই-আবগারি প্রকল্প অন্যতম গুরুত্ব পায় বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- জোর ধাক্কা পদ্মে! কেন ধূপগুড়িতে হার? আজ কলকাতায় ময়নাতদন্তে কেন্দ্রীয় বিজেপি
অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে জিএসটি প্রাইম, ই-অকশন, ই-procurement এর মতো প্রকল্পকেও আলোচনা সভার মধ্যে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। তার মধ্যেই অন্যতম গুরুত্ব পায় রাজ্যের ই-আবগারি প্রকল্প।
advertisement
নবান্ন সূত্রে খবর, বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সামনে যখন ই-আবগারি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করা হয়, তখন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ই-আবগারি প্রকল্প কী, কবে থেকে এই প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শুরু করেছে, তা নিয়েও বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা হয় জি-টোয়েন্টি সামিটে।
জি -টোয়েন্টি সামিটে রাজ্যের এই প্রকল্পকে তুলে ধরায় এই প্রকল্প বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি এবং আলাদা সাফল্য পেল বলেই মনে করছেন নবান্নের আধিকারিকরা।
৬ বছর আগে রাজ্যের আবগারি দপ্তর ই-আবগারি প্রকল্প নিয়ে আসে। মূলত আবগারি দপ্তরের অধীনে বিভিন্ন অন শপ, অফ শপকে লাইসেন্স দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মদ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির বিভিন্ন ব্র্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং-সহ একাধিক কাজ এই ই -আবগারি প্রকল্পের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন- ফুলফর্মে ঘূর্ণাবর্ত! আগামী সপ্তাহে হলুদ সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, ঝড়জল এবার ছেলেখেলা
গোটাটাই অনলাইন প্রক্রিয়া। ই-আবগারি প্রকল্পের মাধ্যমে সব কাজ করে থাকে রাজ্যের আবগারি দপ্তর। আর এবার সেই প্রকল্পই বিশ্বের দরবারে অন্যতম স্বীকৃতি পেল।
এর আগেও রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প কেন্দ্রের স্বীকৃতি পেয়েছে। “কন্যাশ্রী” প্রকল্প বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। তবে রাজ্যের আবগারি দপ্তরের এই প্রকল্প কোনও সম্মান বা অ্যাওয়ার্ড না পেলেও বিশ্বের দরবারে এই প্রকল্পকে তুলে ধরাকেই রাজ্যের আধিকারিকরা অন্যতম সাফল্য হিসেবেই মনে করছেন।
সম্প্রতি এর আগে রাজ্যের আবগারি দপ্তর রাজ্যের কোষাগারে রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা দিয়েছে মদ বিক্রি করে। সম্প্রতি গরমকালেও বিয়ার বিক্রি করে রাজ্যের আবগারি দপ্তর রেকর্ড মুনাফা করেছে চলতি অর্থ বর্ষে।
নবান্ন সূত্রে খবর, বর্তমানে আবগারি দপ্তরের যে আয়ের টার্গেট রয়েছে তার থেকে অনেক বেশি মুনাফা করতে চলেছে তারা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়