তৃণমূলের তরফে নির্মল ঘোষ বলেছেন, ‘৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বাজেট অধিবেশনের শুরু। অধিবেশন চলবে দুই সপ্তাহ। ১৫ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করা হতে পারে’। রাজ্য বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: রিজার্ভেশন হল কি না নিশ্চিত নয়? এই ৩ পদ্ধতিতে দেখে নিন পিএনআর স্টেটাস!
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে ভাষণ নেওয়ার পর সিভি আনন্দ বোসের এটাই ছিল প্রথম ভাষণ। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের কয়েকশো কোটি টাকা বকেয়া। বারবার বলার পরেও সেই টাকা মেটায়নি কেন্দ্র। তাই বাজেট অধিবেশনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগে প্রস্তাব আনতে পারে শাসক দল। তবে শাসক দলের এক বরিষ্ঠ নেতা বলেন, ‘এই নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি’।
advertisement
আরও পড়ুন: সপ্তাহের শুরুতেই কমলো অশোধিত তেলের দাম! কলকাতায় কত হল দেখে নিন
বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার মতো যে কোনও পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে তারা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে চাইলে আমরা বিরোধিতা করব। কেন্দ্রের পাঠানো টাকা রাজ্য সরকার কোথায় খরচ করেছে তার হিসেব দিক। আমরা অনেকদিন ধরেই এই হিসেব চাইছি। কিন্তু রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই’।
গত বছরের বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল বিধানসভা। তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভাষণের আগে থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছয়, ভাষণ না দিয়েই বিধানসভা ছাড়তে উদ্যত হন রাজ্যপাল। তাঁকে আটকাতে পাল্টা ধর্নায় বসেন তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা। শেষ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়ে বিধানসভা ত্যাগ করেন ধনখড়।
বগটুই-কাণ্ডের পরেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল বিধানসভায়। ঘটনার প্রতিবাদে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি। পাল্টা স্লোগান দেয় তৃণমূল। মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। দুপক্ষের বিধায়করা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। মারামারিতে জখম হন শাসক ও বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে বাজেট অধিবেশনে কী হয় সেটাই এখন দেখার!