আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনায়, বাসের সঙ্গে ধাক্কায় টুকরো টুকরো থার! সেতুতে ঝুলে রইল বাস
AMU-র ভূগোল বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, ড. সলেহা জামাল জানিয়েছেন, লা-নিনার কারণে আমাদের অঞ্চলে তাপমাত্রার পতন এবং উচ্চ চাপযুক্ত শীতল হাওয়া বৃদ্ধি পাবে, যা উত্তর ভারতে শীতের প্রকোপ আনবে। তিনি বলেন, “এটি একটি জলবায়ু চক্র, যা আবহাওয়ার আকস্মিক পরিবর্তন ঘটায়। যেমন, আগে বৃষ্টি কম ছিল, তবে তারপর অনেক বেশি বৃষ্টি হয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই অস্থিরতা শীতেও দেখা যেতে পারে।”
advertisement
ফসলের ওপর শীতের প্রভাব
প্রফেসর জামাল আরও বলেছেন যে, লা-নিনার সরাসরি প্রভাব রবি এবং খরিফ ফসলের ওপর পড়বে। মার্চ এবং এপ্রিল মাসে অস্বাভাবিক শীত এবং বৃষ্টি কৃষকদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি জানালেন, প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়া ভূমধ্যরেখার সমান্তরালে পশ্চিম দিকে বইছে, যা গরম পানি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এশিয়ার দিকে নিয়ে আসে। আল-নিনো এবং লা-নিনার মতো প্রভাবগুলি শুধুমাত্র আবহাওয়াকেই নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং পরিবেশকেও প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন: পেট্রল ট্যাঙ্কারকে পুলিশের তাড়া, মাঝ রাতে উদ্ধার এক কোটি টাকার মদ!
জলবায়ু পরিবর্তনের চক্র এবং ভারতের উপর প্রভাব
ড. জামাল জানান, এল-নিনো এবং লা-নিনার প্রভাব সাধারণত ৯ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়, তবে এগুলির আসার নির্দিষ্ট সময় নেই। এই চক্রগুলি ২ থেকে ৭ বছর পর পর আসে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় জলবায়ু পরিবর্তন ঘটায়। বিশেষভাবে, ভারতের মনসুন প্রশান্ত মহাসাগরের জলবায়ুর ওপর নির্ভরশীল, তাই জলবায়ুতে কোনো পরিবর্তন ভারতীয় আবহাওয়ার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
