রাজ্যপাল দীর্ঘদিন ভোট হিংসা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। সম্প্রতি তিনি রাজভবনের বারান্দায় কার্যত নজিরবিহীনভাবে বিরোধী দল নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ভোট ভর্তি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সফর করেছেন। মাঝে নির্বাচনের পরে রাজ্যপাল দিল্লি ঘুরে এসেছেন। একাধিকবার দেখা করেছেন অমিত শাহের সঙ্গে। এই নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে তাঁর টানাপোড়েন চলছিল। এই আবহেই সম্প্রতি সামনে আসে জৈন হাওয়ালা কাণ্ড। আনেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মমতা বলেন জৈন হাওয়ালা জগদীপ ধনখড় ওই কাণ্ডে যুক্ত। রাজ্যপাল আবার প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি নন ওই মামলায় নাম ছিল অজিত পাঁজার।
advertisement
অধিবেশনের আগের দিন তৃণমূল সাংবাদিক বৈঠক করে দেবাঞ্জন এর দেহরক্ষী রাজভবনে এমন একটি ছবিও প্রকাশ করে। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল এই দেহরক্ষীর মাধ্যমেই দেবাঞ্জন এর পাঠানো উপহার খাম পৌঁছতে রাজ্যপালের কাছে। এখানেই শেষ নয়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল গণপিটুনি সহ তিনটে বিল আটকে রেখেছে। বুধবার এর প্রতিবাদে চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল লেখেন স্পিকার রাজ্যপাল পদটির অবমাননা করছেন।
এই বেনজির সংঘাতের মধ্যেই রাজ্যপাল আজ অধিবেশনে কথা বলবেন। রেওয়াজ অনুযায়ী রাজ্যপাল সাধারণত শাসকদলের দেওয়া বক্তব্যটি পড়েন। রাজনৈতিক মহলের মত আজ তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাছাড়া বিধানসভায় ঢোকা বেরোনোর সময় রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে পারেন। তিনি কী বলবেন, ভাষণে কী উঠে আসবে জল্পনা তাই নিয়েই।