সমস্যা কম ছিল না। সমাধানের রাস্তাও যে খুব সহজ ছিল, তাও নয়। ভোটের দায়, জনমোহিনী বাজেটের চাপ, নোট ক্ষতে প্রলেপ, থমকে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। অগ্রাধিকার স্থির করেই বাজেটে খসড়া তৈরিতে নামেন
অরুণ জেটলি।
বাজেটে অগ্রাধিকার ----
নোট বাতিল
ক্যাশলেস অর্থনীতি
জিএসটি ও কর সংস্কার
বিদেশি বিনিয়োগ ও শিল্পোৎপাদন
সামাজিক সংস্কার
advertisement
শিল্প থেকে কর্মসংস্থান, নোট বাতিলের পর আর্থিক ক্ষতি, আম-আদমির প্রত্যাশা পূরণ। পাহাড়প্রমাণ সমস্যা পূরণে কি দিশা দেখাল বাজেট?
দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সমাধানে এই বাজেট হয়নি। আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরানোর দাওয়াই এখানে নেই। নীচুতলায় সংস্কারের জটও কাটানো হল না। পরিকাঠামোয় গতি না ফিরলে গ্রামোন্নয়নের কাজও এগোবে না। সেই তাগিদ
বাজেটে দেখা গেল না
বেশ কিচু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ থাকবে জেটলির বাজেটে। এই রাস্তা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। মূল প্রশ্ন
গুলিরই উত্তরই এড়িয়ে গিয়েছেন জেটলি
কালো টাকার পুরোটাই কি অর্থনীতিতে ফিরে এসেছে?
তা কি অর্থনীতিতে যোগ হয়ে সাদা হয়ে যাবে?
বাড়তি বরাদ্দের টাকা আসবে কীভাবে?
লগ্নি আশানুরূপ না হলে কিভাবে হবে কর্মসংস্থান?
শিল্পে গতি ফেরাতে কী ব্যবস্থা?
বাজেটেই স্পষ্ট যে কঠিন প্রশ্নগুলিই এড়িয়ে গিয়েছেন জেটলি। হয়তো ইচ্ছে করে। হয়তো বা এছাড়া কোনও উপায়ও ছিল না তাঁর। তাই বোধহয় নজিরবিহীনভাবে শিল্পমহলের সমালোচনার মুখেও পড়তে হচ্ছে অর্থমন্ত্রীকে।
বাজেটে অচ্ছে দিনের কথাও মুখেও আনেননি। প্রধানমন্ত্রীর নামও খুব একটা করেননি। নরেন্দ্র মোদি নয়। অর্থনীতিতে ভারসাম্য রাখার কাজটা তাঁকে একাই করতে হবে? একথা বুঝেছেন বলেই কি? নাকি জেটলির বাজেটও আসলে তৈরি মোদির তৈরি ছকে? জনদরদি - গরীবদরদি বা আম-আদমির বাজেট? যে নামেই তাকে ডাকা হোক না কেন?