কী ভাবে প্রকাশ্যে এল অপরাধ?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটি বেশ কয়েকদিন ধরে আতঙ্কে ভুগছিল। পড়াশুনায় মন ছিল না। স্কুলের শিক্ষিকা তাঁকে এমন করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে কান্নায় ভেঙে পড়ে। জানায়, বাবা তাঁর সঙ্গে এমন জঘন্য আচরণ করে চলেছে দিনের পর দিন ধরে। ছাত্রীর কথা শুনে ওই শিক্ষিকা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্কুলে ডেকে পাঠান। সেখানেই কিশোরীর বাবা নিজের দোষের কথা স্বীকার করে নেন। এরপর শনিবার স্থানীয় থানায় ওই শিক্ষিকা কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওইদিনই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। নির্যাতিতাকে মেডিক্যাল টেসের জন্য পাঠানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মাঝরাতে শরীরচর্চায় বাধা দিয়েছিলেন, প্রতিশোধ নিতে মায়ের সঙ্গে এমনই ঘৃণ্য কাজ করল ছেলে!
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২ বছর আগে অভিযুক্ত ব্যক্তির কিডনি বিকল হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই সময়ে তাকে সুস্থ করে তুলতে কিডনি দান করেন স্ত্রী। কিন্তু মাস পাঁচেক আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন কিশোরীর মা। তারপর থেকে তিনি নিজের বাপের বাড়িতে রয়েছেন। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। ফলে কিশোরীর দেখভাল করেন বাবা। অভিযুক্তের দাবি, মেয়ে দিনভর মোবাইলে বুঁদ হয় থাকে। তাতেই তিনি অসহ্য হয়ে ওঠেন এবং মেয়ের সঙ্গে ঘৃণ্য আচরণে লিপ্ত হন। কিশোরীর দাবি, শেষ কয়েকমাসে বাবা তার সঙ্গে একাধিকবার এমন কাজ করেছে।