আরও পড়ুন- পঞ্জাবে ক্ষমতায় এসেই ভগত-রাজগুরু-সুখদেবের শহিদ দিবসে সরকারি ছুটির ঘোষণা আপের
“তিনি সম্প্রতি কেশরিয়া মহকুমার (পূর্ব চম্পারণ) রেজিস্ট্রার অফিসে মন্দির নির্মাণের জন্য তাঁর পরিবারের জমি দান সংক্রান্ত সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন,” সাংবাদিকদের বলেন প্রাক্তন ভারতীয় পুলিশ আধিকারিক আচার্য কিশোর কুণাল।
ইশতিয়াক আহমেদ খান জানান, বেশিরভাগ জমির মালিকানাই তাঁর পরিবারের এবং তিনি ভেবেছিলেন মন্দির (Virat Ramayan Mandir) নির্মাণের জন্য কিছু করা তাঁর দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ইশতিয়াক বলেন, “এটি আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য।”
advertisement
আচার্য কিশোর কুণাল জানান, ইশতিয়াক আহমেদ খান এবং তাঁর পরিবারের এই অনুদান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের একটি বড় উদাহরণ। তিনি আরও জানান, মুসলমানদের সাহায্য ছাড়া এই স্বপ্নের প্রকল্প (Virat Ramayan Mandir) বাস্তবায়ন করা কঠিন হতো।
এই মন্দির (Virat Ramayan Mandir) নির্মাণের জন্য মহাবীর মন্দির ট্রাস্ট (Mahavir Mandir Trust) এখনও পর্যন্ত ১২৫ একর জমি পেয়েছে। শীঘ্রই এই এলাকায় আরও ২৫ একর জমি পাবে ট্রাস্ট। বিরাট রামায়ণ মন্দির (Virat Ramayan Mandir) কম্বোডিয়ার বিশ্ব বিখ্যাত দ্বাদশ শতকের আঙ্কোরভাটের চেয়েও লম্বা হবে।
পূর্ব চম্পারণের চত্বরে ১৮ টি মন্দির থাকবে এবং এর শিব মন্দিরে বিশ্বের বৃহত্তম শিবলিঙ্গটি অবস্থান করবে।
আরও পড়ুন- পুরীর আদলেই দিঘায় চোখ ধাঁধানো জগন্নাথ মন্দির গড়ছে রাজ্য সরকার, খরচ ১২৮ কোটি টাকা
মন্দির (Virat Ramayan Mandir) নির্মাণের মোট ব্যয় আনুমানিক প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কিছুকালের মধ্যেই নয়াদিল্লিতে নতুন সংসদ ভবন নির্মাণে নিযুক্ত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেবে ট্রাস্ট।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনও সদস্যের মন্দিরের জন্য অনুদান দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। গত দুই বছরে, উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple in Ayodhya) নির্মাণের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছ থেকে অনুদানের বহু খবর শিরোনামে এসেছে। গত বছরের মে মাসে, চেন্নাইয়ের একজন মুসলিম ব্যবসায়ী ডব্লিউএস হাবিব রামের তথাকথিত জন্মস্থান অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ার জন্য ১ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।