মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার ক্যান্টনমেন্ট কাউন্সিলের লালকুঠি এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, সকালে স্থানীয় একটি নালার ধারে সাপকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। বাদামি রঙের শরীর জুড়ে চাকাচাকা দাগ। অনেকেই এটিকে অজগর বলে ভুল করেছিলেন। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা সাপটিকে উত্যক্ত করতেও শুরু করেন। কিন্তু কয়েকজনের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ছবি তুলে পাঠিয়ে দেন বন দফতরে। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় সাপধরাকেও।
advertisement
তখনই বোঝা যায়, ওটি আদৌ অজগর ছিল না, বরং ওটি ছিল বিপজ্জনক রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া প্রজাতির সাপ। এই রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া হল বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত বিপজ্জনক সাপেদের মধ্যে একটি। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন স্থানীয় সাপধরা অখিল বাবা। সঙ্গে এনেছিলেন সাপ ধরার যাবতীয় সরঞ্জাম। কিন্তু ততক্ষণে বিষধর সাপটি একটি গর্তে ঢুকে পড়েছে। অখিল ওই নালা এলাকা খনন করে সাপটিকে বের করে আনেন। ধরে ফেলে একটি ব্যাগে পুরে দেন।
তবেই স্বস্তির শ্বাস পড়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। অখিল বাবা জানান, এই সময়ে গরম পড়ছে, আবার কখনও কখনও হালকা বৃষ্টিও হচ্ছে। তাই আবহাওয়া আর্দ্রতা বাড়ছে। বিষাক্ত প্রাণীরা এই তপ্ত, আর্দ্র পরিবেশ থেকে বাঁচার জন্য শীতল এলাকা খোঁজ করছে। সেই কারণেই এই সাপটি গর্ত থেকে বেরিয়ে নালায় চলে এসেছিল।
প্রায় চার ফুট লম্বা এই সাপটিকে উদ্ধারের পর অখিল বাবা জানান, এটিকে নিরাপদে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। অখিল বারবার সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার কথা বলেন। তিনি জানান, নিজের বাড়ির আশেপাশে কোনও আবর্জনা জমতে দেওয়া যাবে না। নালা থাকলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে, যাতে সহজেই জল বের হয়ে যেতে পারে।