বর্তমানে বিরল এই ডাকটিকিটটি রয়েছে লখনউয়ের অশোক কুমারের কাছে। নিজের ‘দ্য লিটল মিউজিয়াম’-এ তিনি এটি সংরক্ষণ করে রেখেছেন। আর এই স্ট্যাম্পটিকে বিরল বা দুর্লভ বলা হচ্ছে, কারণ এর পিছনে একটি গোপন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।
advertisement
কী সেই রহস্য? আর রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার কালেই বা তা নিয়ে এত চর্চা কেন? স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রশ্নগুলোই সবার মনে আসবে। আসলে ৫৭ বছরের পুরনো এই ডাকটিকিটটি জারি হয়েছিল নেপালে ভগবান রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে। যা এই মুহূর্তে বিস্ময়ের থেকে কোনও অংশে কম নয়। ১৯৬৭ সালে জারি হওয়া এই ডাকটিকিটটি ভগবান রাম এবং দেবী সীতাকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। যেখানে কাকতালীয় ভাবে রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠার কথা লেখা রয়েছে। এমনকী ১৫ পয়সার এই ডাকটিকিটে রাম নবমী ২০২৪ লেখা রয়েছে।
‘দ্য লিটল মিউজিয়াম’-এর মালিক অশোক কুমার বলেন যে, “১৯৬৭ সালে এই ডাকটিকিট জারি হয়েছিল নেপালে। এখানে ভগবান রামকে দেখা যাচ্ছে তীর-ধনুক হাতে। আর মা সীতাও রয়েছেন ঠিক তাঁর সামনেই। ১৫ পয়সার ওই ডাকটিকিটে লেখা রয়েছে রাম নবমী ২০২৪। আসলে ১৯৬৭ সালের ১৮ এপ্রিল রাম নবমী উপলক্ষে প্রকাশ করা হয়েছিল সেটি।” অশোক কুমারের দাবি, কারও কাছ থেকে তিনি এই ডাকটিকিটটি কিনেছিলেন।
কিন্তু ৫৭ বছরের পুরনো ওই ডাকটিকিটে কেন রাম নবমী ২০২৪ লেখা ছিল? এর উত্তরে অশোক কুমার বলেন, “ভাইরাল নেপালি ওই ডাকটিকিটে সেটা ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী লেখা হয়নি। বরং তা লেখা হয়েছে বিক্রম সম্বত অনুসারে। আর বিক্রম সম্বত ইংরাজি ক্যালেন্ডারের থেকে ৫৭ বছর এগিয়ে থাকে। এভাবেই ১৯৬৭ সালে জারি হওয়া ডাকটিকিটে ৫৭ বছর এগিয়ে লেখা রয়েছে ২০২৪। আর সেই কারণেই বলা যেতে পারে যে, অত বছর আগে থেকেই রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার সময়কাল বর্ণিত ছিল।”